মোহনের অজ্ঞাতবাস Հ8Տ
- , শধে জানি তা নয়, তা'র সকল অনুচরদের নামের লিস্টও আমরা সংগ্রহ *tা ছ ! এখন তুমি কি বলতে চাও ?”
নীলমাধব কহিল, “তা’হলে আমি বলব, আপনার স্বয়ং ভগবানের বংশধর । t+h wানে না, "এই ‘রত্নবিষাণ" কে, আমিও না। আমার বিশ্বাস, যদি তা'র কোন পMও থাকে, তবে সে-বেচারীও জানে না ।” এইবার মিঃ পাইন কহিলেন, "ওটা তোমার ব্যক্তিগত মত । কি ক'রে তোমার আদেশ-পত্র পেয়েছিলে ?” "ডাকে । আমাকে কি করতে হবে, কোন সময়ে করতে হবে, তা বিশদভাবে পt্য পঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং আমিও তা’ করেছি।” "তোমাকেও কি প্রাণের ভয় দেখানো হয়েছিল ?” প্রফেসার বসু প্রশ্ন করিলেন । "না। কারণ আমি সংবাদ-পত্রে সমস্ত বিবরণ পড়েছিলাম । আমি জানতাম, আমি যদি তা’র আদেশ পালন না করি, তবে আমাকে শান্তি পেতে হবে । সুতরাং আমি যথাসাধ্য প্রাণপণে আদেশ তালিম করেছিলাম।” প্রফেসার বস্ব কহিলেন, "হাঁ, আর একটি প্রশন, নীলমাধব । তুমি কি নিজেই সেদিন অন্ধকারে নিজেকে 'রদ্রেবিষাণ" বলে ঘোষণা করেছিলে ?” “না প্রফেসার, না। আমি সম্পণে বিশ্বাস করি যে, ‘রত্নবিষাণ“” এমন সময়ে অফিসের টেলিফোন তীব্র শব্দে বাজিয়া উঠিয়া দসু্যর কথা অসমাপ্ত রাখিল । মিঃ পাইন টেলিফোনের রিসিভার কানে দিয়া হঠাৎ সাজেটিকে ইঙ্গিত করিলেন এবং সাজেণ্ট মচিছগড়ের রাজাকে লইয়া বাহির হইয়া গেলে, তিনি কহিলেন, “কি বলছেন আপনি ? নীলমাধব কিছুই জানে না ? ধন্যবাদ, অশেষ ধন্যবাদ, রন্দ্রবিষাণ " ইহার পর মিঃ পাইন রিসিভার নামাইয়া রাখিলেন এবং নীলমাধবকে পুনশচ আনিবার জন্য আদেশ দিলেন । প্রফেসার বসু সহসা বাহির হইয়া গেলেন । এমন সময়ে সাজেটের সহিত দস্থ্য প্রবেশ করিল। মিঃ পাইন কহিলেন, “তোমার কত কথা বলছিলেন, নীলমাধব বলছিলেন যে, তুমি নদীমার কাঁটের চেয়েও ধর্ম। তুমি কিছু জানো না, কোন কাজের নও, একটি জ্যাত গাধা এবং স্টুপিডী" এই বলিয়া তিনি সাজেণ্টকে পনশ্চ ইঙ্গিত করিলেন। সাজেণ্ট নীলমাধবকে লইয়া বাহির হইয়া গেল । প্রফেসার বসু প্রত্যাবতনি করিয়া কহিলেন, “না, টেলিফোনের স্থান ঠিক করা গেল না । এটা একটা পাবলিক ট্রাঙ্ক-লাইন কল ।” মিঃ পাইন কিছু সময় গভীর ভাবে চিন্তামগ্ন থাকিয়া কহিলেন, “প্রফেসার, দয়া ক'রে একবার স্যার মহাপাত্রের খবর নিন। তিনি কেমন আছেন দেখন।" অলপ সময় পরে প্রফেসার রিসিভার নামাইয়া কহিলেন, “স্যার মহাপাত্র বাড়ীতে নেই । তিনি কলকাতার বাইরে গেছেন । ট্রাঙ্ক-লাইনের রাজ্য সেটা নয় কি, মিঃ পাইন ? ভাল কথা, আপনি কি তাপ্তী দেবীর সঙ্গে কথা বলবেন ?”
