পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহনের অজ্ঞাতবাস $ốo Mঘাণের পর ” এই বলিয়া বেহারী পত্ৰখানি প্রফেসারের হাতে দিল । পঞ্চেসার পত্ৰখানি পাঠ করিলেন। তাঁহার দুই ভ্ৰ কুঞ্চিত হইয়া উঠিল । তিনি wছিলেন, “তুমি আদেশ পালন করলে না কেন, বেহারী ? ভয়ে ? নিশ্চয়ই আমাদের জtা না ? যদি মিঃ পাইন না হ’য়ে অন্য কোন সাধারণ ব্যক্তি হ’ত, তা হলে M"াই তুমি আদেশ তালিম করতে । কেমন, তাই না বেহারী ?” লেহারী মখ ভার করিয়া কহিল, “পুলিস এই রকমই নিমকহারাম বটে। t*াখায় এত বড় একটা কাজ করলাম, আমাকে মোটা পরস্কার দেওয়া হবে, না উলেট জluার ওপর দোষ চাপাচ্ছেন । এই জন্যই পলিসের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছা যায় |l N1भाद्न ।' "ধীরে বেহারী, ধীরে । তুমি বকশিশ চাও, না ? কিন্তু ‘রদ্রবিষাণ কি t৩lমাকে এমনি ছেড়ে দেবে ভেবেছ ? আদেশ অমান্যে তা'র একটি মাত্র শাস্তিই আছে । আর তা’ হ’চ্ছে মৃত্যু ৷ এখন তোমার প্রাণ রক্ষা করা প্রথমে প্রয়োজন, গা তোমাকে বকশিশ দেওয়া ? তুমি কোনটা চাও, বেহারী ?" বেহারীর মুখ শুকাইয়া গেল । সে বিশেষ রুপেই জানে, ‘র দ্রবিষাণ’ কখনও কথার খেলাপ করে না । সে ভীত কণ্ঠে কহিল, “তা’ হ’লে কি হবে, প্রফেসার 2 শেষে কি পাইন সাহেবের প্রাণ বাঁচাতে এসে, নিজের প্রাণটা দিতে হবে ?" প্রফেসার হাসিয়া কহিলেন, “এই নিদায় পৃথিবীতে অনেক জৱালা, অনেক কাসিাদ, বেহারী ! তোমার মত ভদ্রলোকের পক্ষে এখানে চলা-ফেরা করা আদেী নিরাপদ নয়। সপ্তাহে কত মাইনে পেতে তুমি ?” বেহারী সবিসময়ে কহিল, “আপনার কথা শুনে মনে হয়, প্রফেসার, যেন আপনিই—“রুদ্রবিষাণ !” প্রফেসার বসু উচ্চশব্দে হাসিয়া উঠিলেন এবং হাসি থামিলে একজন সাজেণ্টকে আহবান করিয়া কহিলেন, "একে হাজতে বন্ধ রাখো । কারো সঙ্গে দেখা করতে দেবে না, বাইরের কোন খাবার একে খেতে দেবে না। বুঝেছ ?” go. সাজেণ্ট সসম্ভ্রম কহিল, “বুঝেছি, স্যার ।” പ് বেহারী বুঝিল, ইহা ভিন্ন তাহার রক্ষা পাইবার দ্বিতীয় পথ নাই। প্রতিবাদে, অবনত মস্তকে সাজেটের সহিত বাহির হইয়া গেল ১১শ প্রফেসার বস্থ ‘রত্নবিষাণের পত্ৰখানি পনশ্চ পাঠ করিলেন। তাঁহার দই ভ্রম কুঞ্চিত হইয়া উঠিল । তিনি ক্ষণকাল নীরবে চিন্তা করিয়া, মিঃ পাইনের বাসার ঠিকনায় টেলিফোন করিবার জন্য রিসিভার তুলিয়া লইলেন, এমন সময়ে মিঃ পাইন wবয়ং প্রফেসারের অফিসে প্রবেশ করিলেন । প্রফেসার রিসিভার রাখিয়া দিয়া কহিলেন, "পাইন, আজ রাত্রে আর স্যার মহাপাত্রের বাড়ীতে গিয়ে কাজ নেই, আমাদের বন্ধ 'র দ্রবিষাণ আপনাকে সেখানে হত্যা করবার জন্য বেহারীকে আদেশ দিয়েছিলেন । কিন্তু বেচারা তা হজম করতে না পেরে এখানে ছুটে এসেছিল। এই পর দেখন। কিন্তু কথা হচ্ছে, এই ‘রন্দ্রবিষাণ কে ?” মিঃ পাইন পত্ৰখানি পাঠ করিয়া কহিলেন, " 'র দ্রবিষাণ যে কেউ হতে পারে।

  • , *.

ختی۔

  • সে বিনা