পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՏ8 মোহন অমনিবাস o ওই দ’লাখ টাকা পরস্কার আর কারকেই পেতে হয় না, কিন্তু তা’ হ’লে আমার কি হবে ?” রমা শিহরিয়া কহিল, “তুমি থাম-গো, থাম । আমি অমন সম্ভাবনা চিন্৩৷ করতেও ভয় পাই । আচ্ছা এক কাজ করলে হয় না ? কিন্তু না থাক। আমি সব সময়ে ভাবি, যে কোন মহতে তোমার শিরে বিপদের মেঘ ঘনিয়ে আসতে পারে।” মোহন স্নিগ্ধ হাস্যে কহিল, “আমি জানি রানী, নিজেকে কি ক’রে রক্ষা কর৬ে হয়। ‘রত্নবিষাণের লীলা-খেলা বেশীদিন চলতে দিতে আমি আর ইচ্ছুক নই। কারণ এই খেলায় আমি অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।” “কবে শেষ হবে ?” রমা আগ্রহভরে কহিল । “সবই কায’-কারণের উপর নিভর করে, রানী । একটা নতন খবর শনেছ ?" মোহন গম্ভীর মুখে প্রশ্ন করিল। রমা আতঙ্কিত সবরে কহিল, "কী ?” “রন্দ্রবিষাণ” প্রধান মন্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে পত্র দিয়েছে যে, আগামী কাল রাdি ১০ টার মধ্যে যদি প্রধান মন্ত্রী স্বয়ং দস্যকে Pardon দিয়েছেন, এই আদেশ-পত্ৰ নিয়ে দস্যর সঙ্গে দেখা না করেন, তা হলে প্রধান মন্ত্রীকে হত্যা করা হবে ।" মোহন মদে হাসিয়া কহিল । রমা ক্ষণকাল বিসফারিত দটিতে চাহিয়া থাকিয়া কহিল, “এইবার আগম নিয়ে খেলা শুরু হ’ল তোমার । সত্যি বলছি, হয় তুমি এসবের শীগগির পরিসমাপ্তি ঘটাও, নয় নিশ্চয় জেনো, আমি আর বেশীদিন সহ্য করতে পারবো না।” মোহন হাসিতে হাসিতে রমার একখানি হাত আপনার দই হাতের মধ্যে চাপিয়া ধরিয়া কহিল, "রুদ্রবিষাণ’ জানে, সে কি করছে । একটা বিষয়ে তুমি নিশ্চিন্ত থাক রানী যে, ‘রত্নবিষাণ’ কখনও কাউকে ধাপা দেয় না । সে যা বলে, তাই করে । সে যদি সফল হয়, তা’ হ’লে এইবার সব কাজ ছেড়ে দেবে। য়ুদি বিফল হয় . . . . . .” ふ “আমার তা’ হ’লে কি হবে গো ?” রমা মান মুখে কহিল oি “তোমার কিছমাত্র ভয় নেই, রানী। তোমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ মাথা ঘামালে না নিশ্চয়ই। আর দু’টো দিন তুমি আমার ওপর অখণ্ড নিভীরতা রাখতে পার না কি ? সফলতা কিবা বিফলতা যাই হোক, ‘রত্নবিষাণের’ এই হবে শেষ কীতি ।” "আঃ ! এইবার আমি নিশিচন্ত, এইমাত্র তুমি যা বললে, তাতে আমার মন আনন্দে ভরে উঠেছে। ‘রত্নবিষাণকে আমি জানি বলেই আশা করছি, এইবার সত্যি সত্যিই তার লীলা-খেলা শেষ হতে চলেছে।” মোহন কৃত্ৰিম ভয়ে সোজা হইয়া বসিয়া কহিল, "রানী, তুমি কী কঠিন কথা বলছ ? তুমি—শধে তুমি কেন, আমরা—যখন এমন ঘনিষ্ঠ সত্রে ‘রত্নবিষাণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি, তখন তোমার মুখে তার লীলা-খেলা শেষ হবার অভিশাপ শোভা পায় না ।”