পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిసి ఆ মোহন অমনিবাস V অফিসে পে"ছাতে হবে। আর কোন নতন খবর আছে ?” মিঃ পাইন মান মুখে কহিলেন, “কিছলমাত্র না। চারজন সাজেশট প্রধান মন্ত্রীর অফিস পাহারা দিচ্ছে এবং কমিশনার সাহেব তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেছেন।" উভয়ে অফিস হইতে বাহির হইয়া একখানি ট্যাক্সিতে আরোহণ করিলেন এবং প্রধান মন্ত্রীর অফিসে যাইবার আদেশ দিলেন । এক সময়ে প্রফেসার বসন কহিলেন, “দস্থ্য মোহনের কোন সংবাদ পেয়েছ ?" মিঃ পাইন কহিলেন, “কিছুমাত্র না, তা’ ছাড়া বড় সাহেবের দৃঢ় ধারণা যে, মোহনের সঙ্গে রদ্রবিষাণের সংস্রবই নেই । আমি যখন দস্থ্য মোহনের অজ্ঞাতবাসের দিকে তাঁর দটি আকষণ করলাম, তিনি বললেন যে কোন নাগরিক বান্তিয় যে কোন স্থানে যাবার, পলিসকে ঠিকানা না জানিয়ে থাকবার অধিকার আছে। সুতরাং মোহনের কোন ঠিকানা পাওয়া যাচ্ছে না ব’লে, তা’র ঘাড়েই সব অপরাধ চাপাতে যাওয়া মুখতা ছাড়া আর কিছু নয়। এই যখন বড় সাহেবের মত তখন--” মিঃ পাইন কথা শেষ করিলেন না ; প্রফেসার বসু হাসিয়া উঠিলেন । কহিলেন, "মোহনের সঙ্গে আমার সেদিন দেখা হয়েছিল ।” "তা’ শুনেছি। কিন্তু দুঃখ এই যে, আপনি তা’র বর্তমান ঠিকানা বা সে কোথায় কি করছে, তা’ জিজ্ঞাসা করেন নি।” "তা'তে কি হ’ত, পাইন ? কমিশনারের যখন অভিমত ষে, ষে মোহনকে সন্দেহ করছে, সে প্রকাণ্ড হস্তীমুখ ছাড়া আর কিছু নয়, তখন ঠিকানায় কি হবে ?" এই বলিয়া প্রফেসার বসু হাসিয়া উঠিলেন । - মিঃ পাইন কহিলেন, “সত্য বলতে কি, এক এক সময়ে আপনি অত্যস্ত দবেfধ্য? হয়ে ওঠেন। আপনি বলছেন, আপনি "রুদ্রবিষাণকে চেনেন, এমন কি একদিন তার সঙ্গে হোটেলে খানা পৰ্যন্ত খেয়েছেন, অথচ আমাকে বলছেন মোহন সম্বন্ধে । আমার ধারণা কী ? এ-ক্ষেত্রে আমি কোন পথে চলি, বলতে পারেন " প্রফেসার বম্ব মিঃ পাইনের পণ্ঠে ধীরে ধীরে আঘাত করিতে করিতে কহিলেন, । "আচ্ছা পাইন, আচ্ছা। মোহন সম্বন্ধে তুমি আর দু-একটু দিন মাথা ঘামাতে । বিরত থাক। আমিই না হয় তাকে একটু নাড়াচাড়া করে দেখব। এই যে আমরা এসে পড়েছি ।” .* ট্যাক্সি রাইটাস বিল্ডিংয়ের করিডোরে প্রবেশ করিল প্রফেসার বসু ও মিস্টার পাইন ট্যাক্সি হইতে অবতরণ করিয়া, প্রধান মন্ত্রীর অফিসের সম্মখে গিয়া তাঁহাদের নাম-লেখা কাণ্ড' দ'খানি ভিতরে পাঠাইয়া দিলেন । অলপ সময় পরে চীফ সেক্রেটারি তাঁহাদের ভিতরে আহবান করিলেন। সেখানে কমিশনার সাহেব উপস্থিত ছিলেন ; তাঁহারা বসিলে, চীফ কহিলেন, “আপনাদের নিকট কোন কিছু কৈফিয়ত দেবার প্রয়োজন নেই। আপনারা শুনেছেন, প্রধান মন্ত্রী রদ্রবিষাণের কাছ থেকে এক ভীতিপ্রদ পত্র পেয়েছেন । আপনারাও জানেন, (*)