পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- মোহনের অজ্ঞাতবাস రిc్న, নাম লগ ?” "না তাপতী, না। বললেও তুমি তা’কে চিনতে পারবে না। সে তোমাদের লn পরিচিত ব্যক্তি নয়।" এই বলিয়া মিঃ পাইন নীরব হইলেন। কুমারী তাপতী কহিল, “কিন্তু প্রমথ, তুমি যতক্ষণ না তা’র বিরুদ্ধে প্রচুর প্রমাণ গাছ, ততক্ষণ কিছুতেই তাকে গ্রেফতার করতে পারো না।” শি পাইন মদে হাসিয়া কহিলেন, “তাপতী, তুমি ঠিক কমিশনার সাহেবের মত টঙ্গা পলছ । প্রমাণ ? এই শয়তানের বিরুদ্ধে এত বেশী প্রমাণ পঞ্জীভূত হ'য়েছে * আমার দুঃখ হয়, তা’কে একবারের বেশী ফাঁসি-কাঠে ঝোলাতে পারা যাবে না, নীলে দশবার ঝোলালেও প্রমাণের অপ্রতুলতা ঘটত না । এই দমকে, আমার ইচছা iii, প্রথম ফাঁসিতে ঝুলিয়ে, তারপর নামিয়ে রেখে, আবার ঝুলিয়ে দিয়ে পরে tলকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে কুকুরের মত গুলি ক’রে মারি ।” কুমারী তাপতী মধুর সবরে হাসিয়া উঠিল। কহিল, "প্রমথ, তুমি উত্তেজিত : útr|w 1" “হয়েছি তাপতী, হয়েছি । আমার এখন ইচছা যাচেছ, পাগলের মত দু'হাত তুলে দাঁচ, আর চীৎকার করে বলি–পেয়েছি, পেয়েছি, দম্য এইবার তোকে পেয়েছি, এইবার তোকে-•••••” মিঃ পাইনের কথা শেষ হইল না, পাব-কক্ষে টেলিফোন ৰঞ্জিয়া উঠিয়া তাঁহাকে নীরব করিয়া দিল । কুমারী তাতী কহিল, “নিশ্চয়ই তোমার হেড কোয়াটার, প্রমথ। তুমি দেখবে, nা আমি ধরব ?" মিঃ পাইন দ্রতপদে পাশব"-কক্ষে গিয়া রিসিভার তুলিয়া লইয়া *হলেন, “হ্যালো ! কে ? প্রফেসার ? হাঁ, হাঁ, আমি পাইন। শািনন প্রফেসার, আমি পেয়েছি, এইবার পেয়েছি, আমার দটিতে সব কিছ জলের মত পরিৎকার "য়ে গেছে । আমি জানি------” সহসা প্রফেসার বসু বাধা দিয়া তারের অপর প্রান্ত হইতে কহিলেন, "নিবোধের মত কথা ক'য়ো’ না, প্রমথ । টেলিফোনে তুমি কখনও কা’রও নাম ক'রো না, এখনি চলে এস। বিশেষ জরুরী কাজ পড়েছে। প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যেতে হবে ।" এই বলিয়া প্রফেসার টেলিফোন কনেকসান কাটিয়া দিলেন। কুমারী তাতী নিকটেই দাঁড়াইয়াছিল ; কহিল, “দটুি খেয়ে যাবারও সময় হবে মা, প্রমথ ?" W মিঃ পাইন টুপি ও ছড়ি হাতে তুলিয়া হাসি মুখে কহিলেন, “আমাকে ক্ষমা করো, রানী। আমরা সফলতার শিখরে উঠতে চলেছি, এ-সময়ে তুচ্ছ খাওয়ার জন্য একটা মহেতেও নন্ট করা চলে কী ?” কুমারী তাতী বিষন্ন মুখে কহিল, "তুচ্ছ খাওয়া ! কিন্তু প্রমথ, তোমার স্বাস্থ্য যে...” তাপতীর কথা শেষ হইবার পাবেই প্রমথ দ্রতপদে বাহির হইয়া গেল । কুমারী তাতী একটা দীঘ"বাস ফেলিয়া কহিল, “হয়তো আজ সারাদিনই আহার, জটবে না।"