পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ী মোহন os a aমা অতি মদন স্বরে কহিল, "ওগো । একটুখানি থাম তুমি । আমার মাথাটা *ঙ্গ করে উঠেছে।” পর মহতে রমার মুখখানি মোহন দই সবল করতলের মধ্যে চাপিয়া মুখের দিক তুলিয়া অতি মিন্ট স্বরে কহিল, “আমি বঝেছি রমা, আমিও অনুভব As, Tz. " অব সমাৎ রমার দুই চক্ষ উপছাইয়া আশ্রধোরা ঝরিতে লাগিল । ( 8 ) লেনারসের জনাকীণ অঞ্চল হইতে দরে কামাচ্চার শেষ প্রাস্তে যে দ্বিতল বাড়ীটি ছিল, তাহার মালিক বাড়ীটি ভাড়া দিয়া রাখতেন । বতমানে যে ব্যক্তি এই বাড়ীটি eা লইয়াছিল, সে একেবারে ছয় মাসের ভাড়া অগ্রিম দিয়া বাড়ীর মালিককে nt ) মাসে মাসে ভাড়া আদায়ের শ্রম হইতে অব্যাহতি দিয়াছিল । যে ব্যক্তি এই দাWটি ভাড়া লইয়াছিল, তাহার নাম বিরপক্ষ পালিত-বাঙালী, এইটুকু পরিচয়ই বাড়ীর মালিক পাইয়াছিলেন এবং তাহাতেই সন্তুষ্ট ছিলেন। সেদিন কামাচ্চা পোস্ট অফিসের পিয়ন বিরপোক্ষ পালিতের নামে একখানি গোরিং পত্র ডেলিভারী দিবার জন্য এই নিজ’ন বাড়ীটির সম্মুখে আসিয়া wNgাইল । বাড়ীর বহিদ্বার ভিতর হইতে বন্ধ ছিল এবং পত্র রাখিয়া যাইবার জন্য ভায়ের মধ্যস্থলে একাংশ সামান্য স্থান কতি"ত ছিল। কিন্তু বলিয়াছি, সেদিনের পাখানি বেয়ারিং ছিল, সুতরাং পোস্টম্যানের পক্ষে দ্বার-ছিদ্রে গলাইয়া দিয়া মঞ্জি পাইবার সম্ভাবনা ছিল না । পোস্টম্যান দ্বারের কড়া নাড়িয়া উচ্চস্বরে কহিল, “চিঠি হ্যায়, হজের ” কোন উত্তর নাই । পোস্টম্যান পুনশ্চ অপেক্ষাকৃত জোরে কড়া নাড়িয়া কহিল, “চিঠঠি হ্যায়, ৰজর ।” So, তবুও কোন উত্তর নাই । aş > পোস্টম্যান বিপদ গণিল । অনমানে বলি, হয় বাড়ীর অধিবাসী নিদ্রিত, দয় তিনি বন্ধ কালা। কিন্তু বেলা ১০টার সময় কোন ভদ্রলোক নিদ্রা যান না, এই ভাবিয়া পোস্টম্যান স্থির করিল যে, বিরপাক্ষবাব কানে কর্ম শনিতে পান। ইহা স্থির করিয়া পোস্টম্যান তাহার সবল দুই হাত দিয়া দ্বারের উপর প্রচণ্ড আঘাত कर्णाष्ट्रल ! এইবার আশাতীত ফল ফলিল। সেই প্রচণ্ড শব্দে স্থির থাকিতে না পারিয়া হউক বা শুনিতে পাইয়াই হউক, দ্বিতলের একটি বাতায়ন সশব্দে খলিয়া গেল ; পঙ্গে সঙ্গে পোস্টম্যান উপর দিকে চাহিয়া দেখিল, একটি অতি কদাকার ভয়াবহ মুখ ও মাথা বাহিরে আসিয়াছে। বৃহৎ গোলাকার চক্ষ দু’টি হিংস্ররোtষ যেন জনলিতেছে। এই অভূতপবে এবং অকল্পিত মতি দেখিয়াই পোস্টম্যান সভরে দুই পা পিছাইয়া গিয়া কৈফিয়ত দিবার জন্য কহিল, “চিঠঠি হ্যায় হজের ।”