Θθ Ο মোহন অমনিবাস রাক্ষসাকার ব্যক্তিটি গম্ভীর সবরে কহিল, "আমি বিরপোক্ষ পালিত । এই৭৷৷ বোধ হয় বুঝেছ ষে------” নাম শনিয়া কিছ: বুঝিতে না পারিয়া স্টেশন মাস্টার সাহস সঞ্চয় কaিn কহিলেন, "তা’ বলে একটা দগধপোষ্য বালকের কানমলে দেওয়া ভদ্রতার" এই বলিয়া যেমন লোকটা অগ্রসর হইবার জন্য পা তুলিয়াছে, অমনি ৬িh বিদ্যুদ্বেগে কক্ষে প্রবেশ করিয়া সশষেদ দ্বার বন্ধ করিয়া দিলেন । সঙ্গে গtw বিরপক্ষ অট্টহাস্যে ভাঙ্গিয়া পড়িতে লাগিল এবং বেচারী স্টেশন মাস্টার অwি মধ্যে কালী নাম জপ করিতে লাগিলেন । ক্ষণকাল পরে টিকিট দেওয়ার জানলার ভিতর দিয়া বিরপোক্ষ নামক বাsিh কহিল, "এই মাসটার, এদিকে এস, কলকাতার একখানা টিকিট জলদি দাও ।" স্টেশন মাসটার জানলার নিকট সরিয়া আসিয়া কহিলেন, “তা’ দিচ্ছি। কি" একটা ছোট ছেলের কান মলে দেওয়া, তা” আবার বিনা অপরাধে, নিশ্চয়ই আমি লক্ষ বার বলব যে••••••” "চুপ রও।” বিরপাক্ষ এমন ভীষণ স্বরে কহিল, যেন বিনা মেঘে বজ্রপাও হইল। অগ’লবন্ধ অফিস-কক্ষের ভিতর বীরপুরুষ স্টেশন মাস্টারের মুখের কথা স্তদ্ধ হইয়া গেল। বিরুপোক্ষ পুনশ্চ কহিল, “কত দিতে হবে ?” "কোন ক্লাস ?” মাসটার জিজ্ঞাসা করিলেন। "তোমার মাথা ক্লাস । কোন: ক্লাস । বলি থাড' ক্লাস, হেইডিয়ট " বিরপেক্ষ মধর শব্দগুলি বিনা কারণে উপহার দিল । স্টেশন মাস্টার নিরপোয়, কারণ তখন অনেকেই অফ-ডিউটিতে চলিয়া গিয়াছেন । তিনি মাত্র একা আছেন । আর একজন সিগন্যাল-ম্যান আছে—?ি" তাহার কোন পাত্তাই তিনি পাইতেছিলেন না । সুতরাং মনের রাগ মনে রাখিয়া কহিলেন, “দশ রাপেয়া দশ আনা ।” “এই মাস্টার, এই লেও " এই বলিয়া দুখানি দশ টাকার নোট জানালা দিয়া গলাইয়া দিল । a So স্টেশন মাস্টার টিকিট ও বাকী নয় টাকা ছয় আনা জানালীর ছিদ্রের নিক? রাখিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে কহিলেন, “আমি বারবার বলব, কোন ভদ্রলোকের পক্ষে কোন শিশুর কানে হাত দেওয়া...” Q বিরপাক্ষের কণ্ঠে যেন বোমা ফাটিল । কহিল, "চুপ রও। এই নাও, ছেলের কানে ওষুধ দিও।” এই বলিয়া খুচরা নয় টাকা ছয় আনা জানালার ভিতর দিয়া মাসটারের গায়ে নিক্ষেপ করিল এবং গম্ভীর মুখে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করিড়ে লাগিল । স্টেশন মাস্টারের সকল অভিযোগ, সকল অনযোগ সঙ্গে সঙ্গে লয় প্রাপ্ত হইল। তিনি টাকাগুলি সযত্নে কুড়াইয়া লইয়া পত্রের গায়ে হাত বলাইয়া কহিলেন, "ঠারো বেটা, মিঠাই খিলাওগে আজ । ও যানে দেও।” অলপ সময় পরে ট্রেন আসিয়া উপস্থিত হইলে মানব-রাস বিরপোক্ষ পালিত
