ব্যবসায়ী মোহন ළු ඇෆ অকস্মাৎ মিস সেনের দু'টি চক্ষ অশ্রুসিক্ত হইয়া উঠিল ; সে ভারী গলায় কছিল, "আপনি সব সুখী হোন, স্যার ।” মোহনের মুখে স্নিগ্ধ হাসি ফুটিয়া উঠিল। সে কহিল, “আমি যে সব সখী, আপনি বুঝি জানতেন না, মিস সেন ? কথা তা’ নয়—কথা হচ্ছে এই যে, বৰ্তমান "}ীল ম্যানুফ্যাকচাস” আশাতীত লাভ করেছে । জগতের সব স্থান থেকে এত sulর পাচ্ছে, যা তা’র প্রতিষ্ঠাতাও কল্পনায় ভাবতে পারতেন না । দুঃখ এই ষে, Alর মানস-সবপ্নে গড়া এই মন্দির, শুধু সেই সেখানে আশ্রয় পেলে না, ভোগ করতে পারলে না ।” মিস সেনের দু'টি চক্ষতে জমা অশ্র: দ’টি রক্তাভ কপোল বাহিয়া ঝরিয়া পড়িল । সে কহিল, “এমন ক’রে বড় সাহেবের জন্য কেউ কোন দিন ভাবেনি, কেউ কোন দিন পরিশ্রমও করেননি, স্যার ।” মোহনের দু’টি চক্ষতে দুরের ছায়া নামিয়া আসিল ; সে একটা দীঘ"শ্বাস চাপিয়া কহিল, “হয়তো তাই ; এক এক সময়ে সত্যি ব’লে ভাবতেও আমার সাহস হয় । কিন্তু মিস সেন, সমস্যা চিরদিন সমস্যাই রয়ে গেল।” মিস সেন অথ'বোধ করিতে না পারিয়া বিস্মিত দটিতে মোহনের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল । অকস্মাং মোহনের সমরণ হইল, তাহার সম্মুখে একজন কামের কমচারী দাঁড়াইয়া রহিয়াছে । সে ঈষৎ লঙ্গিজত হইয়া মদ হাস্যমুখে কহিল, "অলরাইট, মিস সেন । ধন্যবাদ 1" মোহনের কণ্ঠস্বরে ও আচরণে বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া পড়িলেও মিস সেন মনিবের ইচ্ছা পালন করিতে তিলমাত্রও দেরি করিল না। সে দ্রতপদে কক্ষ হইতে বাহির হইয়া গেল । মোহন টেবিলের উপর সংলগ্ন একটি ইলেকট্রিক বোতাম টিপিলে বেয়ারা উপস্থিত হইল। মোহন কহিল, “সেক্রেটারী সা’ব ।” বেয়ারা বাহির হইয়া গেল এবং অনতিবিলবে সেক্রেটারী সত্যেন মেন প্রবেশ করিল। মোহন হাস্যমুখে কহিল, "বসো, সত্যেন।" * সত্যেন মানবের আদেশ কুষ্ঠিত মনে পালন করিল। সে লিষ্টখানি হাতে করিয়াই আনিয়াছিল, সেখানি মোহনের হাতে তুলিয়া দিল্লী মোহন আগ্রহভরে কাগজখানির উপর চক্ষ বলাইতে লাগিল। তাহার মুখ অঞ্চমাং গম্ভীর হইয়া উঠিল ; কহিল, "অত্যস্ত কম মাইনে দেওয়া হয়। না, সত্যেন ?" সত্যেন মদ হাসিয়া কহিল, "অন্যান্য অফিসের তুলনায় বেশী দেওয়া হয়, স্যার । আমাদের সবগগত মিঃ মিত্র এ বিষয়ে সদা-সজাগ ছিলেন।" মোহন রাগ করিয়া কিছ: বলিতে যাইতেছিল, কিন্তু বন্ধ অপবর নাম আসিয়া পড়ায় সে শাস্ত-কণ্ঠে কহিল, “ও কথা থাক । এখন বল, সকলকে কি-ভাবে increment দেওয়া যায় ?” সত্যেন গম্ভীর মুখে ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া কহিল, “দশ পাসে“ট যথেষ্ট হবে, গ্যার ”
