পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●qbf মোহন অমনিবাস অন্তর আপন মনে তোতা পাখীর মত আউরে যাচ্ছে যে, “আমি হয় মিঃ গণে, পর মিঃ সেনের সঙ্গে দেখা করবই। আমি মিঃ গন্তর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম, তিনি যখন অফিসে নেই, মিঃ সেনের সঙ্গে দেখা করতে চাই ।” মিঃ সেন চেয়ার ছাড়িয়া উঠিয়া দাঁড়াইল এবং জানালার নিকট গিয়া একশ। নিয়ে রাজপথের উপর লোক-চলাচলের দিকে চাহিয়া দেখিল, পরে শৈলেনের দিকে ফিরিয়া কহিল, "উত্তম ! আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করব। আপনি তাঁকে আমার অফিসে পাঠিয়ে দিন ।” শৈলেনের মুখ ভয়ে পাংশবেণ ধারণ করিল ; সে কহিল, "কিন্তু স্যার, তেমন লোককে---” বাধা দিয়া মিঃ সেন কহিল, “না, আমি দেখা করব। এখনি তাকে নিজে আসন।” শৈলেন যে সখী হইল না, তাহা তাহার মুখ দেখিয়া মিঃ সেন বকিতে পারিল কিন্তু শৈলেন আর অপেক্ষা করিল না, দ্রতপদে কক্ষ হইতে বাহির হইয়া গেল। অনতিবিলম্বে মিঃ সেনের অফিস-কক্ষের বাহির হইতে শৈলেন কহিল, "ম। পালোধি, স্যার ।” সঙ্গে সঙ্গে দ্বার মুক্ত হইল। মিঃ ত্রিশঙ্কু পালোধি প্রবেশ করিল। মিঃ সেন চাহিয়া দেখিল, একটি হস্তীপ্রায় ব্যক্তি হেলিতে দলিতে তাহার দিকে অগ্রসর হইতেছে । সে আরও বঝিল, ব্যক্তিটির দেহে অসরের মত শক্তি আছে। দাড়িগোঁফ কামানো পরিৎকার মখে ; দেখিলেই মনে হয়, এই লোকটি সম্পণে অকারণে মানুষকে হত্যা করিতেও কুঠিত হয় না। মিঃ সেন ত্রিশঙ্কু পালোধির মুখের উপর একাগ্র দটি পাতিয়া কহিল, "গড মনিং, মিঃ পালোধি ।” ত্রিশঙ্কু পালোধির আকণা-বিস্তৃত মুখে ভয়াবহ হাস্য ফুটিয়া উঠিল। তাহার মুখ হইতে মদের দগন্ধ বাহির হইয়া মিঃ সেনের নাসিকায় প্রবেশ করিল, পালোপি ভারি গলায় কহিল, “আপনার সঙ্গে পরিচিত হয়ে অত্যন্ত খুশি হ’লাম !". মিঃ সত্যেন সেনের মনে হইল, যেন ত্রিশঙ্কু পালোধির কণ্ঠের ভিতর হইতে কামারশালের হাপরের শব্দ উত্থিত হইতেছে। সে একখানি চেয়ার দেখাইয়া দিয়া কহিল, "বসন।” S) “আপত্তি নেই।” ত্রিশঙ্কু কহিল । এই বলিয়া সে একখানি চেয়ারের ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা করিয়া অতি সতকাতার সহিত উপবেশন করিল । চেয়ারটি কয়েকবার আত"ধননি করিয়া থামিয়া গেল । সে পুনশ্চ কহিল, “এইবার বসেছি । চেয়ার ভাঙ্গবে না-ভয় নেই।” ত্রিশঙ্কুর মুখে পশুজাতীয় হাসি ফুটিয়া উঠিল। সে বাঘের মত থাবা-সদৃশ হাত দটি হাঁটুর উপর রক্ষিত করিয়া মিঃ সেনের দিকে চাহিয়া রহিল। মিঃ সেন একদুটে আগন্তুকের ভীষণ আকৃতি এবং তদধিক ভয়ঙ্কর মাখের দিকে চাহিয়৷ চাহিয়া দেখিতেছিল। সে এক সময়ে দেখিল, ত্রিশঙ্কু তাহার দিকে চাহিরা মদ, মদ হাসিতেছে। তাহার মনে হইল, যেন একটি বিষধর পাহাড়ী সাপ উন্মেষ