পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ী মোহন © ታሚ প্ৰাপমার সঙ্গে দেখা করে আমার কথা বলেছিল ?” ত্রিশঙ্কু পালোধি শকরের খণ্ড দটি মেলিয়া চাহিয়া প্রহিল । মোহন কঠিন স্বরে কহিল, “না আমাদের দেখা হয়নি। কিন্তু ওটা ফেলবেন গা, রেখে দিন ।” বিশঙ্কু সবিস্ময়ে কহিল, “কি বলছেন ? কি রেখে দেব ?” "থন্তু । যদি জানালার কাছে গিয়ে ফেলে আসতে পারেন ; উত্তম ; নচেৎ গিলে ক্ষেল,ন।” এই বলিয়া মোহন নীরব হইল । শিশুকু পালোধি পান চিবাইতেছিল ও একমুখ পিক ঠোঁটের দুই ধার বাহিয়া দাহিরে আসিতেছিল। সে একটা ঢোঁক গিলিয়া একমুখ দাঁত বাহির করিয়া কদাকার হাস্য করিল । কহিল, "ওঃ ইয়াকি করছেন ।” মোহন প্রবল বেগে ঘাড় নাড়িয়া কহিল, “না আদেী না ।” ত্রিশঙ্কু পালোধি ক্ষণকাল একদটে চাহিয়া থাকিয়া কহিল, "আমরা কি প্রথম থেকেই ঝগড়া আরম্ভ করব ?” মোহন একদটে ত্রিশঙ্কু পালোধির দিকে চাহিয়া রহিল। ত্রিশঙ্কু হাসিবার প্রাস পাইয়া কহিল, “কি হচ্ছে ? হিপনোটিজম ?” পরিশেষে মোহন কহিল, "আমার সেক্রেটারীর কাছ থেকে অবগত হলমে যে, আপনি খুব জরুরী একটা কাগজ আমাকে দেখাতে চান এবং তার বিনিময়ে আপনি জv' চান । কি কাগজ ?” "ছোকরার দেখছি বেরেন আছে । আমার মনের তথ্যটি ঠিক ধরেছে।” এই ৰলিয়া ত্রিশঙ্কু তাহার ঘম’-সিক্ত পরাতন োটের পকেট হইতে একটি পরাতন লেফাফা বাহির করিল এবং তাহা মোহনের দিকে বাড়াইয়া দিয়া কহিল, “পড়ে দেখনে ৷” মোহন লেফাফাটি লইয়া ক্ষণকাল ত্রিশঙ্কুর দিকে চাহিয়া থাকিয়া কহিল, "আমাকে এটা পড়তে বলছেন ?" ఉసి ত্রিশঙ্কু দাঁত বাহির করিয়া কহিল, "দেখছি, এই অফিসের প্রত্যেক ব্যক্তিরই ধরেন বলে একটা পদাৰ্থ আছে। ঠিক ধরেছেন আপনি। আমি পড়তেই বলেছি।” মোহন রিভলভিং চেয়ার বাতায়নের দিকে ধরাইয়া বসিল এবং লেফাফা হইতে পরখানি অতি সস্তপণে বাহির করিয়া সম্মুখে ধরল। আট সাঁট কাগজে পাখানি সম্পণে হইয়াছিল। প্রায় দশ মিনিটকাল কক্ষের মধ্যে গভীর নীরবতা বিরাজ করিতে লাগিল । ৬াহার পর মোহন মনস্থির করিয়া পত্ৰখানি পাঠ করিতে আরম্ভ করিল। দেখিতে দেখিতে সময় অতিবাহিত হইতে লাগিল । /পাঁচ মিনিট, দশ মিনিট, পরে বিশ মিনিট সময় চলিয়া যাইবার পর মোহন পত্ৰখানি পাঠ শেষ করিল এবং নিপুণভাবে কাগজগুলি ভাঁজ করিয়া পুনশ্চ লেফাফার ভিতর প্রবেশ করাইল। নত নেয়ে ক্ষণকাল গভীরভাবে চিন্তা করিয়া মোহন ত্রিশঙ্কুর দিকে চাহিয়া কহিল, "তারপর ” মোহনের কন্ঠস্বর তাহার নিজের কানেই অস্বাভাবিক ঠেকিল । তাহার মুখভাব