ՅoՀ মোহন অমনিবাস ত্রিশঙ্কু ক্ষণকাল নীরবে চিস্তা করিল ; পরে কহিল, "তা" বলতে বাধা দেী। আমাকে সনাতন দত্ত নামে এক ব্যক্তি ওই পত্ৰখানা দিয়েছিলেন। সনাতন আaw" বাস করত। তাকে বলতে শুনেছি, সে নাকি তোমার বন্ধ; ও অংশীদা। অপব’ মিত্রের অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধ ছিল ।” মোহন শাস্ত-কণ্ঠে কহিল, "কিন্তু সনাতনবাব পত্ৰখানা আপনাকে দিtw কেন ?" "কারণ সে তখন মরণাপন্ন। আমি হঠাৎ গিয়ে সেখানে উপস্থিত হই। ৬" আর সময় নেই দেখে তা’র সেবা করি ; উদ্দেশ্য—তা’র যা কিছু আছে, যখন আt কেউ ভাগীদার নেই, তখন আত্মসাৎ করা । সনাতন যে আমায় বিশ্বাস করত, ও৷" নয় ; কিন্তু কাছে আর কাউকে না পেয়ে আমাকেই ভার দিয়ে যায়—পলখানা তোমার হাতে পৌঁছে দেবার জন্য ।” “তারপর ?” মোহন জিজ্ঞাসা করিল। "তারপর সেইদিন রাত্রেই সনাতন শিঙে ফোঁকে । আর আমি••• আমার জাদ হাজার জনের মধ্যে ৯৯৯ জন ব্যক্তি যা করত, আমিও তাই করি—ওই শীলমোe 6মারা পত্ৰখানি খুলে পাঠ করি। পাঠ-শেষে বলব কি পত্র, আ-হা-হা-হা-হা । সহসা ত্রিশঙ্ক; দদ’ম হাস্যে উন্মাদ হইয়া উঠিল । মোহনের মনে হইল, একেবারে হাঞ্জার হাজার খালি টিন আটতলা বাড়ীর উপর হইতে সোজা সিড়ি দিয়া ছ-টিণ্ডে ছুটিতে একতলায় নামিতেছে । মোহন ইস্পাত-কঠিন দটিতে চাহিয়া রহিল । ত্রিশঙ্কুর হাস্য-বেগ কমিলে পুনশ্চ কহিল, "সুতরাং খোকা, বসবাতে পারছ, পত্ৰখানা কিভাবে আমার সৌভাগ্যের হেতুরপে উদয় হয়ে ধুমকেতুর মত জলছে।” মোহনের মুখে রহস্যময় হাসি ফুটিয়া উঠিল । সে কহিল, "ধমকেতুই উঠেৰে দেখছি।” তা’র মানে ?” ত্রিশঙ্কুর পটলের মত পরে ভ্র, ফলিয়া উঠিল সে পনখ কহিল, “এখন শোন, আমার হাতে দামী মাল আছে-তোমাকে তেমনি দাম দিয়ে খালাস করতে হবে। তুমি যদি আমার সঙ্গে ঝগড়া নাক্ররো, তবে তোমার সঙ্গেও আমি ঝগড়া করব না । আমি চাই, সোজা ও সৎ ব্যবহার আমি সৎ লোক, অমন বাঁকা পথে চলি না হে! পারি না, আমার বিবেকে বাধে ।” মোহন অকস্মাৎ অতি উচ্চস্বরে হাসিয়া উঠিল ; সে কহিল, “সং শব্দের এব। দফা রফা হবে দেখছি । কিন্তু ও কথা থাক । আপনি বলছেন যে, দামী মাল আপনার কাছে আছে ; কিন্তু সত্যিই কি আছে, মিঃ পালোধি ?” “আমাকে আর হাসিও না ।" এই বলিয়া ত্রিশঙ্ক টানিয়া টানিয়া হাসিতে লাগিল। হাসি থামিলে সে কহিল, "আমি যখন বলি, মাল আমার কাছে আছে, তখন আমি এই কথাই বলতে চাই যে-মাল আমার কাছে নিশ্চয়ই আছে । আগ্নে টিয়া, যদি মালই না থাকবে আমার কাছে, তবে তোমাদের সঙ্গে কি ইয়ারকি করতে
