পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

808 মোহন অমনিবাস মেল ক'রে আর কিছুই আমাদের কাছ থেকে পাওয়া সম্ভবপর হবে না।” ত্রিশঙ্ক; প্রথমে অট্টহাস্য করিতে গেল, কিন্তু তাহার রোষ-রন্থে কন্ঠ হইতে বাহির হইল না। সে ক্ষণকাল তীব্র ও কন্ধ দুটিতে চাহিয়া থাকিয়া কৰি "জাহান্নম । জাহান্নম হবে না। বলি টিয়া, তুমি আমাকে কি ভেবেছ ? আ৷ কি কোন ব্যক্তির দুঃখিনী বিধবা মাসি—তোমার কাছে ভিক্ষের জন্য এসেছি ?" মোহন মদের মদে হাসিতেছিল ; সে কহিল, "আমি কল্পনা করতেও অlও উঠি যে, কোন ব্যক্তির মাসি হওয়া দরে থাক, তোমার সঙ্গে কাররে কোন রক্ত-স°4গ আছে ; অবশ্য তোমার চেহারা, আর আচরণের সঙ্গে জঙ্গলের কয়েকটা জীব-জ"। যে অপরুপ সাদৃশ্য আছে, তা’ স্বীকার করতেই হবে ।” মোহন ত্রিশঙ্ককে এই প্রথম ‘তুমি’ বলিয়া সম্বোধন করিল। ত্রিশঙ্ক; তখনও একই কঠোর দটিতে চাহিয়া বসিয়াছিল ; তাহার মনে ৩৭৭ কোন দমদম বন্য ইচ্ছা রপে গ্রহণ করিতেছিল, তাহা জানিয়া তাহার অন্তষামী পক্ষে ভীত ও সম্প্রস্ত না হইয়া নিশ্চয়ই গত্যন্তর ছিল না। সে কহিল, "অঙ। টাটকা, আনকোরা নতেন গবেষণা করেছ, টিয়া । কিন্তু পত্র, ও-সব ইয়ারীত্রিশঙ্ক পালোধির কাছে চলবে না। শুধু আমাকে তুমি হাসির খোরাক যোগা। আমি তোমার আড়াই হাজার পেয়েছি, কিন্তু যখনই আমার যে-টাকার প্রয়োজন হবে, তখনই যদি তা’ না পাই, কিবা তুমি এই মনুহতে যদি আমার সঙ্গে একটা পাৰা বন্দোবন্ত না করো, তা হ’লে..." এই বলিয়া ত্রিশঙ্ক; হাতে ও মুখে এক প্রকা ইঙ্গিত করিল ; পরে কহিল, “ঐ আসল পত্র, "অরিজিনাল চিঠি’ এমন জায়গা পাঠিয়ে দেব, যা তোমার এবং তোমার এই কোম্পানীর পক্ষে আদেী রুচিকর হৰে না । বুঝেছ, পত্রে ?” “আহা, না, না, না।" এই বলিয়া মোহন প্রবল ভাবে মাথা নাড়িল ; পনেশg কহিল, “আহা—না পালোধি, না।” ত্রিশঙ্ক ক্ষিত স্বরে কহিল, “আহা, না। আহা, না। বলো, তোমার গটি পিন্ডি কি বোঝাতে চাচ্ছ ?” క মোহন মদে হাস্যমন্খে কহিল, “না মানে নাই বোঝাচ্ছি, বন্ধ। আমি এই কথাই বলতে চাইছি যে, কোন অবস্থাতেই আসল অথাৎ অরিজিনাল পরখানা তু কাউকেই দেখাতে পাবে না।” (ఫ్రో ত্রিশঙ্ক পালোধি বিসফারিত দটিতে চাহিয়াছিল ; মনে হইতেছিল, যেন তা চক্ষ-তারকা দুইটি অনতিবিলম্বে আধার হইতে ছিটকাইয়া বাহির হইয়া পড়িবে তাহার মুখে বহনক্ষণ পরে এক টুকরা করণ হাসি ফটিয়া উঠিল ; সে দক্ষিণ হে দ্বিতীয় গুঙ্গুন্সিটির দ্বারা কপালে আঘাত করিতে করিতে আপনাকে আপনি বলি লাগিল, “গুলিয়ে যাচ্ছে—ঠিক ধরতে পারছি না । ছারপোকার দল, চামচিে বাদনর-ছানা যেন কিলবিল ক’রে ঘরে বেড়াচ্ছে।" এই বলিতে বলিতে ত্রিশঙ্ক: রোষে ফাটিয়া ভাঙ্গিয়া খান খান হইয়া পড়িল । সে চীৎকার-শব্দে কহিল, “তোমার গটির পিন্ডি এ্যাঁ, এ্যাঁ ! ওটা কি ? কী ?” বলিতে বলিতে লিখা,