পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○bf মোহন অমনিবাস আমি তোমার কৈফিয়ত চাই, কেন তুমি একটা ফোথ-ক্লাসকে আমার নিকট পাঠিয়ে আমার বিশ্বন্ধ প্রবৃত্তিকে দুষিত করতে সংযোগ দিয়েছ ?" মিঃ বেকার কহিলেন, “তুমি ভুলে যাচ্ছ মোহন, মিঃ মিলারই তোমাৰে গ্রেফতার করেছেন ।” মোহন অকস্মাৎ আট-হাসিতে ভাঙ্গিয়া পড়িল । সে আট-হাসি যেন আর কখন থামিবে না। মিঃ বেকারের মুখে বিরক্তির আভাস পরিস্ফুট হইয়া উঠিল দেখিয়া মোহন হাসি বন্ধ করিয়া কহিল, “তুমি বিশ্বাস করো, বন্ধ, ঐ মেয়েলী-মং অফিসার মোহনকে গ্রেফতার করেছে ?” } মিঃ বেকার সবিসময়ে কহিলেন, “মিঃ মিলার তোমাকে গ্রেফতার করেন নি ?" | “না, না, না " মোহন চীৎকার করিয়া কহিল, “আমার সঙ্গে গেট-পাণ হয়ে উনি এসেছেন শুধ, এর বেশি এতটুকুও নয়। মোহনকে গ্রেফতার করীে একটা মেয়ে-মুখো তরণ এর চেয়ে মোহনের মৃত্যু ছিল ভালো !" | মিঃ বেকার বিস্মিত হইলেন। কয়েক মাহত নীরবে থাকিয়া কহিলেন, "তুীি স্বেচ্ছায় বন্দী হয়েছ ?” | মোহন উত্তেজিত সবরে কহিল, "তবে ? তুমি কি ভাবো বেকার, একটা ੋਂ চোর-শ্রেণীর ধতে করালীচরণ এমন সহজে, এমন অবলীলাক্লমে দম্য মোহনকে বন্দ করতে সক্ষম হবে ? তুমি কি ভাবো, আমি পবোহ্লে সব কিছুই জানতাম না। আমি কি জানতাম না যে, করালীচরণ পলিসের সঙ্গে কিছু বন্দোবস্ত করেছে। আমি সব জানতাম । প্রকৃত পক্ষে আমি যেমনটি ইচ্ছা করেছিলাম, ঠিক তেমiি আয়োজনই ওদের দ্বারা প্রস্তুত হয়েছিল। তারপর নিজের ইচ্ছানাযায়ী প্রস্তু। জালে পড়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি । নইলে, করালীচরণেরও সাধ্য ছিল না আর তোমার নারী-মিলারেরও সাধ্য ছিল না আমাকে এখানে আনে ৷” মিঃ বেকার বিসিমত স্বরে কহিলেন, “কিন্তু কেন এসব ?" মোহন হাসিতে লাগিল ; কহিল, “যত কিছু সবের তুমিই মলে, বেকার ” “আমি ?" এই বলিয়া মিঃ বেকার সবিস্ময়ে চাহিয়া রহিলেন - “হাঁ, তুমি । তুমিই চেটা-চরিত্র করে আমার দুস্থ নমুখারিজ ক’রে দিয়ে আমাকে সসভ্য নাগরিকে পরিণত করেছ। তুমি আমার প্রিয়তমা রমার একা ইচছা পণ করেছ ; তাই আজ দস্থ্য মোহন নাগরিক হয়ে একটা হীন দ্বত্তের হাঁ কাজ রন্ধ করতে অপারগ হ’য়ে, এই পথ অবলম্বন করেছে। জানো বন্ধ, সেদি আমি রমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, মানুষ সৎ পথে আইন বাঁচিয়ে কি ক't চলতে পারে ? তাতে সে কি উত্তর দিয়েছিল, জানো ?” মিঃ বেকার আগ্রহ ভরে কহিলেন, “কি ?” “বলেছিল, ‘সারা পৃথিবীর লোক যদি সৎ পথে চলে জীবন-যাপন করা পারে, বড়ো বড়ো কাজ করতে পারে, তবে তুমিই-বা পারবে না কেন, আমা বধিতে আসে না।’ তাই আমি বন্ধি খাটাতে গিয়ে, এই পথে চলে এসেছি।" মিঃ বেকার হাসিয়া কহিলেন, "অথৎি তোমার স্বভাব এমনি দাঁড়িয়েছে নে