পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8oԵ মোহন অমনিবাস রহিল ; পরে মিট মিট করিয়া চাহিতে চাহিতে কহিল, "মাই গ্যাড ! মায়ের দধে। থেয়েছিলে বটে " ত্রিশঙ্কু অতি কটে উঠিয়া বসিল। তার পর শংকরের মত একটা ৰেীং শখ করিয়া মোহনের ছিন্ন জামার মধ্য দিয়া সুউচ্চ উষ্ণমন্তে ৰক্ষ ও পেশল বাহর দিবে নিনিমেষ দুটিতে ক্ষণকাল চাহিয়া থাকিয়া সে পনশ্চ কহিল, “বাঘের বাচ্চা।" মোহন বিদ্রুপ স্বরে কহিল, "আশা মিটেছে ?” যিশুরু কহিল, “ঈশ্বরের শপথ পত্র, আশা মিটেছে। এত শক্তি যে ঐ দেহের মধ্যে লুকিয়েছিল, কে জানতো ? বাপ, এক-একটা প্ৰ:ষি যেন আধমনে লোহার হাতুড়ির স্বা। আমার সারা অঙ্গ চণে হ'য়ে গেছে, পত্র। আমি বোধ হয় হে'টে, যেতে পারব না ।" i মোহন কহিল, "তা জানি।” এই বলিয়া সে মধর দিকে চাহিয়া কহিল, একটা ট্যাক্সি ডেকে নিয়ে আয় ।” মধ্য উৎফুল্ল দটিতে একবার ত্রিশঙ্কুর দিকে চাহিয়া দন্তপদে বাহির হইয়া গেল । ত্ৰিশঙ্কু কহিল, "কিন্তু আমিও তোমাকে চিহ্নিত করেছি, পত্র।” "তা’ করেছ, পালোধি । কিন্তু আমার অনুরোধ, কোন আরশিতে তোমার মুখখানা একবার দেখো, তা হলেই বুঝতে পারবে, তুমি কি হ'য়েছ।" মোহন মদের হাসিয়া কহিল । ত্রিশঙ্কু কহিল, “আমি কখনও আরশিতে মুখ দেখি না, পত্র । এমন কি কামাবার সময়েও আমি আরশি ব্যবহার করি না । কেন করি না, জানো ? আমি নিজেকে দেখে নিজেই ভয় পাই, তাই ।” মোহন মদে হাসিল ; কহিল "তা’ ঠিক।” ত্রিশঙ্কু চেক-ভরা খামখানি বাহির করিয়া মোহনকে দেখাইয়া কহিল, “এটা ঠিক আছে তো, পৰ ? ব্যাঙ্ক টাকা দেবে তো ?” 2$ò মোহন কহিল, “নিশ্চয়ই দেবে। ওর জন্য তুমি নিশ্চিস্থ থাক, পালোধি । তোমাকে যা স্বেচ্ছায় দিয়েছি, তা কখনও ফিরিয়ে নেব না।" ত্রিশঙ্কু একটা বন্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়া খামটি পদ" ব্যাগে ভরিয়া কহিল, "ধন্যবাদ, পত্র। আর এক কথা—আমি জানতাম, কলকাতায় টাটকা বন্ধিমান বহন বাঙ্গালী আছে, কিন্তু শক্তিমান নেই। আজ আমার সে-ধারণা বদলে গেল, পত্র। কলকাতা যে এমন বাঘের বাচ্ছা জোয়ান বাঘও পষে রাখে, তা’ আমার নতন অভিজ্ঞতা হ'ল। কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, এমন যন্ধ করতে কোথায় শিখলে পত্র ?” মোহন ক্ষণকাল নীরবে চাহিয়া রহিল ; পরে কহিল, “তুমি দমু্য মোহনের নাম শোননি, পালোধি ?” "মাই গ্যাড । কিন্তু তুমি যে সেই মোহন, এমন কথা নিশ্চয়ই বলছ না ?" ত্রিশঙ্কু বিসফারিত দটিতে চাহিল। মোহন হাসিতে হাসিতে কহিল, "আমিই অতীতের দম্য মোহন।"