পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ՏՕ মোহন অমনিবাস এমন ভাবে******" “যন্ধের কিবা ফাটাফাটির ?” মোহন বাক্য সমাপ্ত করিল ; পনেশ্চ কহিল, "প্রথমতঃ হতভাগা আমাদের একজন কেরানীর কান মলে দেয় । বেচারা ফোলা কান নিয়ে আজ পর্যস্ত ভুগছে ।” মোহনের মুখে মদ হাসি ফটিয়া উঠিল । সে বলিতে লাগিল, “তারপর তা’র অসহনীয় নোংরা আলাপ, অসহ্য ভাষায় সম্বোধন এবং সবার ওপর সে যখন দেখলে, তা’র ব্ল্যাকমেলিংরের আধার আগমনে পড়ে ভঙ্গেম পরিণত হ’ল, তারপর আমাকে গলি করতে যাওয়া—এই সব দিয়ে আমাকে সে বাধ্য করেছিল রানী, তাকে একটু শিক্ষা দিতে। যাক, আমার আশা পাণ" হ'য়েছে ; আরও আশা করি, ত’ারও হয়েছে।" রমা কহিল, “আমাকে নকলটা আর একবার দাও, পড়ে দেখি। এমন বিস্ময়৪ যে মানুষের জন্য লুকিয়ে থাকে, ভাবতেও পারতাম না।" মোহন পকেট হইতে ত্রিশঙ্কু পালোধি প্রদত্ত নকলখানি রমার হাতে দিয়া কহিল, "একটা সুখবর বলি, রানী । আমাদের ইউরোপ যাবার পাশপোর্ট এসে গেছে; আমি দখোনা কেবিন রিজাভ করবার জন্য লিখেছি । আগামী রবিবার আমরা এস, এস, গ্রেট ইন্ডিয়া জাহাজে যাত্রা করব । তোমার সব আয়োজন ত প্রস্তুত, রমা ?” রমা মদ হাস্যমুখে কহিল, "দয়াময় মদনমোহনকে ধন্যবাদ যে, তিনি আমাদের এমন ভয়ানক বিপদ থেকে মন্ত ক'রে খোকনকে দেখতে যাবার সংযোগ এনে দিলেন ।" এই বলিয়া রমা পত্রের কপিগুলি খলিয়া পাঠ করিতে লাগিল । মোহন মন্ধে দটিতে প্রিয়তমা পত্নীর মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। যে-পত্ৰ লইয়া এমন ঝড় বহিয়া গেল, তাহা আমরা পাঠক-পাঠিকার দটির সম্মুখে ধরিলাম। শ্ৰীশ্ৰীyদগেf প্রিয় বন্ধ মোহন, ৬ই আগস্ট । আমার হিসাবমত তুমি এই পত্র আমার মৃত্যুর ছয় মাস পরে পাইবে । আমি আগামী কল্য রাত্রি সাড়ে দশটার সময় খন হইব। যদিও এই চিৰা আমার মনকে অত্যন্ত বিষাদাচ্ছন্ন করিতেছে ; আমার নিশ্চিত ধারণা যে তোমার এবং তোমার অতুলনীয়া প্রিয়তমা পত্নী শ্ৰীমতী রমা দেবীর মনকেও ব্যথিত করিয়া তুলিবে, কিন্তু ভাই, আমার পক্ষে আর দ্বিতীয় কোন পৰ্থ ছিল না । মনোযোগ সহকারে আমার এই পত্ৰখানি পাঠ করিলেই আমার এই পন্হা অবলম্বনের পক্ষে পযপ্তি প্রমাণ প্রাগু হইবে । গত এক বৎসর পাবে আমাকে কলিকাতার কতিপয় শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক পরীক্ষা করিয়া বলিলেন যে, আমি দুরারোগ্য ক্যানসার ব্যাধিতে আক্রান্ত হইয়াছি। তাঁহারা কেহই আমাকে সম্পণেরপে আরোগ্য করিবার নিশ্চয়তা দিতে পারেন নাই । তাঁহাদের অভিমত যে, আমি যদি আগামী দুই বৎসর কাল এই ভীষণ ব্যাধির সহিত যঝিয়া তাহার বিস্তৃতি রোধ করিতে পারি, তবে সম্ভবতঃ আরও কিছুকাল এই ধরার আলো-বাতাস ভোগ করিতে পাইব । ক্ষত পচিয়া ভয়ঙ্কর মৃত্যুর চিন্তা আমাকে উন্মাদ করিয়া তুলিল। আবার ঠিক |} }