B૪૨ মোহন অমনিবাস প্রথমে আমি বিরপাক্ষের হাতের লেখা বলিয়া চালাইৰার জন্য বিভিন্ন রকম (আমার হস্তাক্ষরের অপেক্ষা ) হাতের লেখা মকশ করি এবং সফলও হয়। তারপর আমি এই কয়েকটি দ্রব্য সংগ্রহ করি—(১) একটি বৃহৎ কালো ছাতা (২) এক গাছা মোটা ছড়ি । (৩) সবুজ রঙের (গগলস ) চশমা। (৪) খেড়িাইয়া চলার অভ্যাস (৫) কথা কহিবার সময় ঘড় বড় শব্দ । (৬) কটা দাড়ি ও গোঁফ । তারপর এই ৰেশে আমি বেনারস কামাচ্চায় অধ" বৎসরের ভাড়া অগ্রিম দিয়া ঘর ভাড়া লই। এই বাড়ী হইতে বিরপাক্ষ অপমানজনক পত্র অপব মিত্রকে অর্থাৎ আমাকে লিখিতে থাকেন। যে-সময়ে আমি অফিস হইতে অনুপস্থিত থাকি, সেই সময়েই ৰিরপোক্ষ বেনারস হইতে আমাকে অপমানসচক ভাষায় পত্র লিখিয়া জানাইতে থাকে যে, আমি তাহার ফরমালা চুরি করিয়া ইস্পাত তৈয়ারী করিতেছি। সে ইহার মুল্য চাহে—যদি উপর্যন্ত মল্যে দেওয়া না হয় তাহা হইলে সে আমাকে এমন শিক্ষা দিবে ষে, একটা উদাহরণের স্থল হইয়া থাকিবে । মোহন, বন্ধ বুঝিতে পারিতেছ যে, আমি দাজিলিং না গিয়া বেনারসে উপস্থিত হুই এবং রবিবার সেখানে অতিবাহিত করিয়া পাঞ্জাব মেলে সোমবারে অফিসে ফিরিয়া আসি । একদিন বিরপাক্ষ এক বেয়ারিং পত্র পায় এবং পোস্টম্যানের সঙ্গে এমন এক দশ্যের অভিনয় করে যে, পোস্টম্যান তাহা ভুলিতে পারে না। তারপর বিরপাক্ষ স্টেশন মাস্টারের পত্রের কান মলিয়া দেয় ও এমন এক ঘটনার সমাবেশ করে বে, বিরপাক্ষের পরিচয় তাহাদের মনে গাঁথা থাকে। তারপর বিরপাক্ষ কলিকাতায় আসিয়া মিনাভ থিয়েটারের ব্যকিং-ক্লাকের নাসিকায় ছড়ির আগা দিয়া এমন মুড়সুড়ি দেয় এবং এমন অভিনয় করে যে, সে নিশ্চয়ই পলিসের নিকট বিরপাক্ষের অভদ্র আচরণেয় কথা বলিবে । ভারপর দী কোম্পানীর বন্দনক-বিক্লেতা মহাশয় ষে-শিক্ষা বিরপাক্ষের নিকট পাইয়াছেন, তাহাও চিরদিন তাঁহার মনে থাকিবে । হী, আর এক কথা। অফিসে যখনই আমি অনুপস্থিত থাকি হয়, তখনই বিয়পাক্ষ টেলিফোন করিত এবং গালাগালি করিত অথাৎ আমিই রাহির হইতে টেলিফোন করিতাম। কিন্তু একদিন আমিই অফিস হইতে রিপোক্ষের সহিত টেলিফোনে কথা বলিতেছিলাম ; মিস সেন তাহা শনিয়ছিল । তাহা কিরপে সম্ভব হইল ? আমি বাম হাতের কনুই দিয়া টেলিফোনের রিসিভার-হকে চাপিয়া রাখিয়া কথা বলিয়াছিলাম। বুঝিয়াছ বন্ধন, ফলে আমি একাই বিরপাক্ষ ও অপব* মিতের হইয়া কথা বলিতেছিলাম । মাত্র একদিন বিরপাক্ষ অফিসে আসিয়াছিল। সে-সময়ে স্বভাবতই হালদার বি বা আমি অফিসে ছিলাম না । বিরপক্ষ যে-দশ্যের সটি করিয়াছিল, তাহা সমস্ত স্টাফের মনে চিরদিন অাঁকা থাকিবে । কেহই আমাকে চিনিতে পারে নাই বা সন্দেহ করে নাই। কারণ বিরপাক্ষের উপর ধীরে ধীরে সকলের মন এরপ হইয়া পড়িয়াছিল যে, কেহই তাহার মুখের দিকে ভাল ভাবে চাহিয়া দেখে নাই । যেদিন রাত্রে বিরপাক্ষ আমাকে হত্যা করিবে অথাৎ আমিই আমাকে হত্যা
