নারী-মাতা মোহন ՅԾԷ» “দাসী অস্তযমিী নয়, মহারাজ ।” বীণা বাঈ নতমখে কহিল । মহারাজা ব্যঙ্গ হাসিতে মুখরিত হইয়া কহিলেন, “আমি ভাবছি, তোমার খানকার চাকরি যদিও যায়, তব তোমার চিন্তিত হবার কারণ নেই । যে কোন কম কোম্পানী তোমাকে লুফে নেবে, বীণা বাঈ ?” বীণা বাঈয়ের মুখে বেদনার আভাস ফুটিয়া উঠিল । সে ক্ষণ কাল নীরবে কিয়া কহিল, “আজ থেকে মেয়েটির আহার বন্ধ করেছি । শুনলাম, মহারাজের জাদেশও তাই। যদিও এটা শেষ উপায় নয়, তবুও দেখা যাক সফলতা আসে মহারাজা মুখ বিকৃত করিয়া কহিলেন, “সফলতা আসবে না, বীণা বাঈ । thনারের মনে যখন এতখানি দুবলিতা-বোধ কাজ করছে, তখন ট্রেনীর মনঃশক্তি ষে গুগলতর, তাতে আমার সন্দেহ নেই ।” বীণা বাঈ নতমুখে কহিল, “মহারাজের নিকট মিথ্যা গব জাহির করবো, fiাখা রিপোট পেশ করবো, এই কি মহারাজা প্রত্যাশা করেন " মহারাজা বিক্রমপ্রসাদ ক্ষণকাল স্থির দটিতে বীণা বাঈয়ের মুখের দিকে চাহিয়া থাকিয়া কহিলেন, "শোন বীণা বাঈ, আজ থেকে চারদিন সময় তোমায় Mলম—এর মধ্যে ঐ শিকারকে পোষ মানাতে পারো উত্তম । না পারো, তা’ হ’লে গোগ্যতর ব্যক্তির হাতে আমি ভারাপণ করবো।" বীণা বাঈ কিছ: বলিতে যাইতেছিল, বাধা দিয়া মহারাজা বিক্রমপ্রসাদ কহিলেন, "ণ করো ! আমি যখন আদেশ দিই, তখন আমার মাথের ওপর কারার কথা বলা পয়দাস্ত করতে পারি না। তুমি ঐ শিকারকে বশ মানাবার জন্য যে কোন নিষ্ঠর উপায় অবলম্বন করতে পারো ; তবে শিকারের কোন সৌন্দধ* যেন নট না হয়, সেদিকে তীক্ষন নজর রাখতে হবে-ব:ঝেছ, বীণা বাঈ ? এখন তুমি যেতে পারো । আজ থেকে ৪ দিন । আশা করি, মনে থাকবে ।” --- বীণা বাঈ অভিবাদন করিতে করিতে উঠিয়া দাঁড়াইল এবং নতমুখে ইংরম হইতে বাহির হইয়া গেল । ള് মহারাজা বিক্রমপ্রসাদ ক্ষণকাল কক্ষমধ্যে পায়চারি করিয়া ফিরিতে লাগিলেন ; এমন সময় একজন ভূত্য আসিয়া কয়েকখানি পত্র মহারাঞ্জের টেবিলের উপর রাখিয়া গোল । "ني মহারাজা একে একে পত্রগুলি পাঠ করিতে লাগিলেন । অধিকাংশ পরই তাঁহার নারী-ব্যবসায় সংক্ৰাম্ভ । একখানি পত্র লাহোর হইতে আসিয়াছে । লাহোরের ৬প্রলোক তপতীর জন্য উন্মাদনা প্রকাশ করিয়া তিন লক্ষ টাকা অবধি দর দিয়া অবিলম্বে তাহাকে পাইবার জন্য দাবি জানাইয়াছে। মহারাজার মুখ আলোকিত হইয়া উঠিয়াছিল । অবশেষে একখানি পর পাঠ করিয়া তাঁহার প্রফুল্ল মুখভাব অকস্মাৎ গম্ভীর হইয়া উঠিল; তিনি টেবিলের উপর সক্রোধে একটি প্রচন্ড মন্ট্যোঘাত করিয়া কহিলেন, "শয়তান ! আমার সঙ্গে চালাকি । বাঙ্গালী কুত্তা 1"
