পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারী-বাতা মোহন 88vo; রায়বাহাদর পকেটে হাত দিয়া চশমা খুজিতে লাগিলেন, কিন্তু তাহা অন্য wার পকেটে থাকায় খ:জিয়া পাইলেন না। কহিলেন, “কি ব্যাপার, তুমিই পড়ে Iণাও, ভায়া । আমি চশমা জোড়াটা খুজে পাচ্ছিনে ৷” * গ্লমা নীরবে বসিয়াছিল ; সহসা উঠিয়া দাঁড়াইয়া কহিল, “আর নয় দাদ, এkলার আপনি খাবেন চলন ; অনেক বেলা হয়েছে ।” রমা অগ্রসর হইবার উপক্ৰম করিয়াই পুনরায় দাঁড়াইয়া পড়িল । মোহনের দিকে চাহিয়া রায়বাহাদর রমাকে কহিলেন, “ভায়া ?” * "ওঁর এখন অনেক কাজ বোধ হয় সারতে বাকী আছে । আপনি খেয়ে নেবেন । জামুন, দাদ: " এই বলিয়া রমা অগ্রসর হইল । মোহন কহিল, “দেখ, দাদর আহারে যেন কিছুমাত্র ত্রুটি না হয়, রমা ।” রমা গোপন কটাক্ষে স্বামীকে বিদ্ধ করিয়া মদ হাসিয়া কক্ষ হইতে বাহির । হইয়া গেল । ( b ) সেদিন অপরাহ্লে মোহন তাহার অধ্যয়ন-কক্ষে বসিয়া একখানি পত্র লিখিতেছিল। তাহার সামখে বসিয়া রমা একাগ্র চিত্তে চাহিয়া অপেক্ষা করিতেছিল । মোহনের পত্র লেখা হইলে সে কহিল, “অবশ্য আমি নিরস্ত্র হয়েই যাচিছ। কারণ তাতে বিপদের আশঙ্কা কম থাকে। বিশেষ করে যে সময় আমি নৈঠিক অহিংসবাদী হ’য়ে জীবন যাপন করছি, ঠিক সেই সময়ে এমন একটা বিষয়ে আমাকে জড়িয়ে ফেলে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ক'রে তুলেছে, রানী |" রমা ভীত কণ্ঠে কহিল, "উদ্বিগ্ন করেছে ? কোন ভয়ের কারণ আছে না-কি ? যদি ভয় থাকে, তবে আমি তোমাকে কিছুতেই যেতে দেব না ?” মোহনের মখে স্নিগ্ধ হাসিয়া ফটিয়া উঠিল। সে কহিল, “মোহনের জীবনে ঐ একটিমাত্র বস্তই নেই, রমা। ভয় কাকে বলে, তা আমি আজ পর্যন্ত জানিনি। কিন্তু উদ্বেগ মানে ভয় নয় ; আমি শধ্যে এই কথা ভেবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি যে, যে-পথে চলে যে কাজ দু’ঘণ্টায় শেষ করতে পারতাম, সেই কুঞ্জি এই নতন পথে سياسي వ్రై - চলে কতদিনে যে শেষ করতে পারবো, তা জানিনে।" ১৯ রমার মুখভাব পরিৎকার হইল না। সে কহিল, “নেই বা রাজবাড়ীতে গেলে ।” মোহন হাসিয়া উঠিল । কহিল, "যেখানে যেতে পাবার জন্য সাধনা করছিলাম, সেখানে যাবার সংযোগ পাবার পর না যাওয়ায় কোন শাস্তি, কোন সফলতা অঞ্জন হবে, রানী " রমা ক্ষুৰধ সবরে কহিল, “কাজ নেই আমার সফলতায় । যে কাজে গেলে তোমার প্রাণের আশঙ্কা থাকে, সে কাজে আমি কোন কিছর জন্যই তোমাকে যেতে দিতে পারবো না । তাতে যা’ হয় হবে । ষে কোন ক্ষতি হয় হোক, আমি তা সহ্য করবো, তব তোমাকে যেতে দেবো না ।" রমা মুখ মান করিয়া রহিল । মোহন রমার একখানি হাত ধরিয়া মদ চাপ দিয়া কহিল, "আমাকে এতখানি