পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԵC) মোহন অমনিবাস | দেখিবেন, মোহন এক এ্যামেচার দরবর্তত্তের হস্তে বন্দী হইয়াছে, তখন তাঁহার মধে গবে'র যে হাসিটুকু ফুটিয়া উঠিবে, তাহা মানস দটিতে কল্পনা করিয়া মোহন মদ শব্দে হাসিয়া উঠিল । এক সময়ে মোহন সেই অনাবৃত মেঝের উপর শয়ন করিয়া নিদ্রিত হইয়া পড়িল। যখন তাহার ঘমে ভাঙ্গিল, দেখিল, সেই গহবর কারাগার দিনের আলোকে মদন আলোকিত হইয়া উঠিয়াছে। মোহন উঠিয়া বসিল এবং চারিদিকে দটি সঞ্চালন করিয়া বঝিল যে, সে যে-স্থানে বন্দী হইয়াছে, তাহা ভূগভোঁ খোদিত এক দাভেদ্য কারাগার। এই স্থান হইতে উদ্ধার পাইবার কোন পথ নাই । চারিধারে প্রস্তর-গ্রথিত মসৃণ দেওয়াল প্রায় ৬০ ফুট নিম্নে নামিয়া আসিয়াছে । মোহন বৈজ্ঞানিক প্রথায় এই ভীষণ বন্দী-আগারটি দেখিয়া মহারাজা বিক্ৰমপ্রসাদের প্রশংসা না করিয়া পারিল না। সে বুঝিল, এই স্থান হইতে প্রাণপণে চীৎকার করিলেও সে শৰদ পথিবীর উপরে গিয়া পে"ছাইবে না। মহারাজা বিক্ৰমপ্রসাদের ইচ্ছা হইলে তিনি অনায়াসে তাহাকে এই স্থানে জীবস্তু সমাধি দান করিতে পারেন । মোহন আপনাকে আপনি প্রশ্ন করিল, "অবশেষে কি একটা চরিত্রহীন, কামকে, দব:"ত্ত করদ রাজার হাতে জীবন দিতে হইবে ? ইহাই কি মোহনের নিয়তি ? নিয়তি মোহনের ? মোহন অকস্মাৎ অট্টরবে হাস্য করিয়া উঠিল ; হাস্যধৰনি মসৃণ দেওয়ালে আঘাত করিয়া ঘুরিতে ঘুরিতে ভৰধ হইয়া গেল । সহসা মোহন দেখিল, তাহার বন্দী গহবরের দেওয়াল সংলগ্ন একটি ক্ষুদ্র দ্বার মঙ্গে হইয়া রহিয়াছে। সে বিস্মিত হইয়া দ্বারদেশে উ“কি মারিয়া দেখিল, পাশেবর ক্ষুদ্র কক্ষটি বাথরুম। মোহনের মন প্রীত হইয়া উঠিল। সে শিস দিতে দিতে বাথরুমে প্রবেশ করিয়া প্রাতঃকৃত্য সমাধা করিয়া যখন পুনশ্চ পর্ব-কক্ষে ফিরিয়া আসিল, দেখিল, অস্তুত মায়া দণ্ডের পশে তাহার প্রাতঃকালীন আহারের দ্রব্য সেখানে উপস্থিত হুইয়াছে। মোহন ক্ষণকাল কৌতুক-দটিতে চারিদিকে চাহিয়া দেখিতে লাগিল। কিন্তু এমন অসম্ভবও যে সম্ভব হইল কি করিয়া, তাহার কিছুই ঠাহর করিতে পারিল না। সে দ্বিধাহীন মনে আহার সমাপ্ত করিয়া অসফট কণ্ঠে হাসিতে হাসিতে আপনাকে আপনি কহিল, "তাহ’লে আশ মাতু্যর কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু কেন ? আমার নিকট হ’তে সে কোন উপকার প্রত্যাশা করে ? ক্ষণকাল গভীরভাবে চিন্তা করিয়া মোহন পুনশ্চ কহিল, ‘দবে:"ত্তদের চরিত্র দেবতাদেরও অগম্য স্থান-মানুষের সাধ্য কি যে সেখানে প্রবেশ করে ? আহারাস্তে মোহন প্রাচীর-গাত্রে ঠেস দিয়া চক্ষ মাদিত করিয়া ভাবিতে ভাবিতে এক সময়ে ঘুমাইয়া পড়িল । কত সময় অতীত হইয়া গেল, তাহা সে জানিতে পারিল না। অকস্মাৎ কক্ষের মেঝেটি দলিয়া উঠিতে মোহনের নিদ্রা ভঙ্গ হইল এবং সে সবিস্ময়ে দেখিল, যে মেঝেকে সে ভূগভ'-কক্ষের তলদেশে ভাবিয়াছিল, তাহা দলিতে দলিতে উপরে উঠিতেছে। মোহন বিস্ময়কর বৈজ্ঞানিক-কাধ"