পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

888 মোহন অমনিবাস হাসিতে হাসিতে কহিলেন । মোহন অভিভূত হইয়া চিন্তা করিতে লাগিল দেখিয়া মহারাজা জিজ্ঞাপ৷ করিলেন, “কি ভাবছ ?” "ভাবছি, এই এতগুলি শাখা অফিসে কি কাজ হতে পারে ?” মোহন চিন্তি স্বরে জিজ্ঞাসা করিল। মহারাজা কৌতুক অনুভব করিয়া সশব্দে হাসিয়া উঠিলেন । কহিলে “তোমার মত চতুর ব্যক্তির পক্ষে এটা ঠিক সঙ্গত প্রশ্ন হ’ল না, মোহন। শা অফিসে অডরি নেওয়া হয় এবং প্রয়োজন মত শিকার সংগ্রহ হয় এবং শাখা-অফিসের ভিতর দিয়ে শিকার ডেলিভারী দেওয়া হয় ।” মোহন কহিল, “বেশীর ভাগ শিকারই তো ভারতে সংগ্রহ করা হয় ?” মহারাজা কহিলেন, “আয়ের নৰবই ভাগ আসে ভারতীয় শিকারের ওপর থেকে । বাকী দশ ভাগ আদায় হয় সমস্ত পৃথিবীর ওপর।” মোহন শিহরিয়া উঠিল। সে অতি কটে আপন মনোভাব গোপন করি। কহিল, "অথংি ভারতবষ* থেকে প্রতি বৎসর হাজার হাজার নারী বিদেশে চালান হয়ে যায় ?” “হাঁ, তাই । কিন্তু তারা স্বেচ্ছায় যায়। এতটুকু জোর-জলেম কোন স্থাnে নেই।” মহারাজা বলিলেন । মোহন বুঝিতে না পারিয়া কহিল, "সব অভাগীরাই স্বেচ্ছায় এই পথে আসে ?" মহারাজা মদন হাসিয়া কহিলেন, "স্বেচ্ছায় এলে আর কি চিন্তা ছিল, মোহন । স্বেচছায় আসে না কেউ । জোর ক’রে জাল পেতে নানা উপায়ে সংগহীত হ'লে থাকে। তারপর ট্রেনিং দেওয়া হয় । ট্রেনিং পাশ মেয়ের মনে আর কোন দ্বিধাসঙ্কোচের বালাই থাকে না । তারা স্বেচ্ছামত জীবন উপভোগ করে।” মোহন যাহা শুনিল, তাহাতে তাহার অন্তরাত্মা গমেরিয়া কাদিয়া উঠিল । তাহার চক্ষর সম্মখে হাজার হাজার নারীর করণ মখ ভাসিয়া উঠিল। রক্ষা করিবার কেহ নাই, রক্ষা পাইবার কোনও উপায় নাই ; পলিশ অসহায় গভনমেন্ট নীরব । অক্ষম, অসহায়, দািব'ল অভিভাবকগণের আশ্রয়চু্যত হইয়া এমন এক প্রতাপশালী দ্বত্তের হাতে আসিয়া পতিত হয়, যেখান হইতে ফিরিবার কোন পথ নাই। মোহন আপনাকে আপনি জিজ্ঞাসা করিল, “ইহাকে কি বলে ? অদ" } নিয়তি ? না, আর কিছ ?” মোহনকে নিরক্তেরে চিন্তা করিতে দেখিয়া মহারাজা কহিলেন, “সব শনলে, মোহন । এখন তোমার মত কি বলো ? তোমার মত একজন অসাধারণ শক্তিসম্পন্ন বৃদ্ধিমান, কমঠ ব্যক্তিকে আমি যদি পাই, তবে এক বৎসরের মধ্যে আয়ের মারা দ্বিগণে ক’রে তুলতে পারি । তুমি এত অথ উপায় করবে, যা কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনি। কেমন, তুমি সম্মত ?” মোহনের ইচ্ছা হইল যে, ভূমিকম্পের মত দুবার বিক্ৰমে এই নর-পিশাচণের ধনংস করিয়া ফেলে। কিন্তু মনোভাব গোপন রাখিয়া কহিল, “আমি ‘সম্মও'