পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 মোহন অমনিবাস শ্যামাপদ বাহির হইয়া যাইতেছে দেখিয়া, করালীচরণ অমানষিক শক্তিবলে ধৈয* ধারণ করিয়া শাস্ত হইয়া অপেক্ষাকৃত শাস্ত স্বরে কহিল, "এদিকে শোন একবার ” শ্যামাপদ ফিরিয়া দাঁড়াইয়া কহিল, “কণী ?” “বিয়ে করবি না কেন ? কে তোকে কি বলেছে শুনি ?" করালীচরণ তীব্রকণ্ঠে প্রশ্ন করিল। শ্যামাপদ পিতার মুখের দিকে একদুটে চাহিয়া থাকিয়া কহিল, “ও থব বদ মতলব থালো, বাবা । কেউ কিতু আমাকে বলে নি ।” “তবে কদপ-পত্রের আমার বৈরাগ্যের হেতু ?” বিদ্রুপ স্বরে করালীচরণ কহিল । শ্যামাপদ স্থির কণ্ঠে কহিল, “বউ কাঁদে ।” “কাঁদে ! কেন কাঁদে লাটসাহেবের কন্যা ?” দমে ‘খ করালীচরণ প্রশ্ন করিল। শ্যামাপদ নীরবে কয়েক মহত দাঁড়াইয়া থাকিয়া সহসা কক্ষ হইতে বাহির হইয়া গেল । এমন সময়ে একজন ভৃত্য প্রবেশ করিয়া কহিল, “একজন সাহেব দেখা করতে এসেছেন হজের ।” “সাহেব ! সেলাম দে, শীগগির সেলাম দে, হতভাগা।" করালীচরণ ব্যগ্রগুবরে কহিল । ভূত্য কহিল, "দশবার সেলাম দিয়েছি, হজের । তিনি বললেন, “বাবর সঙ্গে আমি দেখা করতে চাই ।” করালীচরণ ভূত্যের অজ্ঞতায় রন্ট হইয়া কহিল, "ওরে বেটা, শীগগির এ-ঘরে নিয়ে আয় !" ভূত্য প্রায় ছটিয়া বাহির হইয়া গেল এবং অনতিবিলম্বে মিঃ মিলার কক্ষে প্রবেশ করিলেন । করালীচরণ দুই হাত কপালে ঠেকাইয়া সাহেবকে সেলাম দিতে দিতে কহিল, "আমুন হজের, আসুন ।” శసి মিঃ মিলার গভীর মখে একখানি চেয়ারে উপবেশন করিলেন। সাহেবের গভীর মুখ দেখিয়া করালীচরণ প্রমাদ গণিল ; ভয়ে ভয়ে কহিল, "কি সংবাদ হজের ?” ు) ( ১৩ ) (కి মিঃ মিলার গম্ভীর সবরে কহিলেন, “মোহনের অপরাধ প্রমাণ করবার মত আপনার যথেস্ট সাক্ষী-সবিদ, দলিল-পত্র আছে ?" প্রশ্নটি করালীচরণের চিস্তার নিরসন করিল। সে কহিল *আছে, নিশ্চয়ই আছে, হজের । এই মামলা-মকদ্দমা ক’রেই করালীচরণের মাথার সব চুলগুলি পাকালো ! তা'র কাছে কোন কিছরই অভাব হবে না ।” মিঃ মিলার সন্তুষ্ট না হইয়া কহিলেন, ঘটনার দিন মাত্র আমরাই ছিলাম, এখানে অন্য কোন সাক্ষী ছিল না, তবে আপনি সাক্ষী আছে বলছেন কি ক’রে " করালীচরণ একজন সিনিয়র অফিসারের মুখে এরপ কথা শুনিয়া পরম বিস্ময়