পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারী-মাতা মোহন 840 মীমাংসা হয় কি ক'রে বল-তো " মিঃ বেকার কহিলেন, “মোহনের দৃঢ় ধারণা এই যে, মহারাজা বিক্রমপ্রসাদ নিশ্চয়ই কোন গুপ্ত সড়ঙ্গ পথে সকলকে নিয়ে পালিয়ে গেছে ।" কম্যাডিং অফিসার কহিলেন, "অসম্ভব । আমার বিশ্বাস, তাদের যখন মোহন এ করে একটা কক্ষে সমবেত হতে দেখেছে, তখন তারা সেই কক্ষের ভিতরেই বিস্ফোরণের প্রবল বেগে মাটির নীচে প্রোথিত হয়ে আছে। ধংসস্তপে পরিকার করা হ'লেই সকল সন্দেহের নিরসন হবে ।” মোহন কমিশনারের দিকে চাহিয়া কহিল, "কিন্তু আমার বিশ্বাস অন্য রকম, স্যার । অবশ্য আমার অভিমত প্রমাণ করবার মত এই মহাতে আমি কিছুই দিতে পারছি না, কিন্তু আশা করি, আগামী কয়েক ঘণ্টার ভিতর আমি সনিশ্চিত প্রমাণ দাখিল করতে পারবো যে, মহারাজা সদলবলে নিবি"ঘ্নে কলকাতা ত্যাগ ক'রে চলে গেছে ।" মিঃ বেকার কহিলেন, “তুমি সম্পণে নিরসন্ত্ৰ হ’য়ে গিয়েছিলে—এর হেতু কি, মোহন ?" মোহন মদে হাসিয়া কহিল, "সশস্ত্ৰ হ’য়েই বা কতক্ষণ থাকতে পারতাম মিঃ বেকার ?” মিঃ বেকার কহিলেন, “দৈব তোমাকে রক্ষা করেছে, নইলে এরুপ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পাওয়া একান্ত অসম্ভব ব্যাপার।" “এই দৈবই আমাকে প্রত্যেকটি কাজে সাফল্য দান করেছে, মিঃ বেকার ।" এই বলিয়া মোহন কমিশনারের দিকে চাহিয়া পনশচ কহিল, “পলায়ন-সমস্যা সমাধান হতে যখন এখনও কিছ: বিলম্ব আছে স্যার, তখন ও বিষয়ে ব্যথা আলাপ না করে এখন মহারাজার কায-কলাপের বিষয় একটু আলাপ করল আমি পথ দেখতে পাই ।” কমিশনার আগ্রহভরে কহিলেন, “বেশ তাই হোক। তুমি কি বলতে চাও, মোহন ?” of মোহন কহিল, “আমি এই কথাই বলতে চাই স্যার, কলকাতার বকে মহারাজা এমন এক ব্যবসার অফিস খুলেছিলেন, যার আয়-এদের পখিবীব্যাপী সকলে বাণ2= অফিসের আয় একর করলে-বাঙ্গলাদেশের মত এমন বড়ো একটা প্রদেশের চেয়েও বেশী হয় । আর মুনাফা সহস্ৰ গণে বেশী। অথচ সে সম্বন্ধে আপনার বিভাগের মত এমন নিপুণ ও প্রবল শক্তিশালী বিভাগও অন্ধকারে আছে । অপেক্ষা করনে স্যার, আমাকে শেষ করতে দিন ।” এই বলিয়া মোহন পুনশ্চ বলিতে লাগিল, “তা’ ছাড়া ব্যবসার শাখা-অফিস ৩৬৫টি, যে ব্যবসায়ে সহস্ৰ সহস্ৰ লোক নিযুক্ত আছে, এমন একটা জঘন্য ব্যবসার সম্বন্ধে কেহ কিছুই অবগত নয়—এর চেয়ে লজ্জার, এর চেয়ে অক্ষমতার পরিচয় আর কি হ’তে পারে, আমি সেই প্রশ্নই এই আলোচনা সভায় উপস্থিত করছি। তাছাড়া আমি এই নিদেশই প্রাথনা করছি, এই ব্যবসায়ের মালোৎপাটন করতে হ’লে কোন পথে, কোন ধারায় চলার