পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3H8 মোহন অমনিবাস মহারাজা অতিমালায় খুশি হইয়া কহিলেন, "চলে, মিঃ মিত্র " “নিশ্চয়ই চলে, মহারাজ । শঠে শাঠ্যং সমাচরেং । যারা আপনাকে বিশাপ করে না, তাদের বিশ্বাস আপনি কেন করবেন ? আমি আজ থেকে মনে-প্ৰাণে আপনাকে এমন এক সৈন্যবাহিনী প্রস্তুত করে দেবার ভার গ্রহণ করছি, যে বাহিনী প্রয়োজন হ’লে দু’দিন কেন, দু'সপ্তাহ পঞ্চত যে কোন আক্ৰমণকারীকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে ।" মহারাজা আনন্দে উত্তেজনায় আসন ত্যাগ করিয়া উঠিয়া দড়িাইলেন । যুবকের করমদন করিয়া কহিলেন, “আমি ঠিক তোমার মতই একজন বিশ্বস্ত কমচারী খ"জছিলাম, মিত্র । এখন বলো, তুমি কত মাইনে চাও ?” মিত্র নত মুখে কহিল, "আমি সব ভার মহারাজের ওপর ন্যস্ত করে আমার নিজের কতব্য সাধন করতে চাই । মহারাজের যা খুশি, আমাকে তাই দেবেন। আমি ষে জাতির কাছে এমন অন্যায় আচরণ পেয়েছি, শুধ সেই জাতিকে একবার দেখিয়ে দিতে চাই, আমরাও মানুষ । আমরাও অত্যাচারিত হ’লে প্রতিশোধ নিতে छानि ।' মহারাজা পরম বিস্ময়ে চাহিয়া রহিলেন । মিঃ মিত্র, পনেশচ বলিতে লাগিল, “আমি এমন এক সৈন্যবাহিনী গড়ে তুলব মহারাজ, যা ইণ্ডিয়া গভন মেণ্টেংগু বিসময় উৎপাদন করবে। তারা কথায় কথায় হমেকী দেখাতে নিরন্ত হবে । আমি খুব শীঘ্র একটা প্রয়োজনীয় অস্ত্র-শস্তের ফদ মহারাজের কাছে পেশ করবো। _ মহারাজা শধে দেখবেন, সে-সব যেন অবিলম্বে সংগ্রহ করা হয় । কারণ অগাশসা, বিশেষভাবে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার জানা না থাকলে শধ্যে প্যারেডে আয় -ৈব্যাটেলে কোন কাজ এগবে না।” মহারাজা অত্যন্ত খুশি হইয়া উঠিয়াছিলেন ; কহিলেন, “আচছা মিত্র, তুমি এত অল্প বয়সে এমন বড়ো হ'লে কি ক’রে ? সত্যি, ভাবতে বিস্ময় বোধ হয় ।” মিত্র নত মুখে দাঁড়াইয়া কহিল, “বাঙালীর ছেলে কত অসম্ভব সম্ভব করে, তা' কি মহারাজ শোনেননি ?” a So "শধ যে শনেছি তা নয়, মিত্র। আমি মাত্র কিছুদিন পবে এমন এক বাঙ্গালীকে দেখবার সৌভাগ্য লাভ করেছিলাম—যদিওঁ,আমি দভাগ্যবশত, খব সম্ভবতঃ তারই দুভাগ্যবশত তার সাহায্যে বঞ্চিত ইলমে—তেমনি বাঙালী যেকোন দেশের রাষ্ট্রনায়ক হবার উপযুক্ত ।” মহারাজা সশ্রদ্ধ স্বরে কহিলেন । যুবকটির পরো নাম তরুণ মিত্র । তরণে সবিসময়ে মহারাজার মুখের দিকে চাহিয়া কহিল, “আপনি কার কথা বলছেন, মহারাজ ?” মহারাজা বিক্রমপ্রসাদ মদ হাসিয়া কহিলেন, “অনুমান করতে পারো না,মিল ?” তরণে মিত্র ক্ষণকাল ভ্ৰ-কুঞ্চিত মুখে চিস্তা করিয়া কহিল, “না মহারাজ, তেমন কোন বাঙালী যুবকের সঙ্গে আমি পরিচিত নই।” “দস্থ্য মোহনের নামও শোননি, মিত্ৰ " মহারাজা প্রশ্ন করিলেন । তরণের মুখভাব স্বাভাবিক আকার ধারণ করিল। সে তাচ্ছিল্যস্বরে কহিল,