পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারী রাতা মোহন 6 Olo মিঃ মিলার মনে মনে প্রমাদ গণিয়া অগ্রসর হইলেন । প্রহরী পশ্চাতে চলিতে লাগিল । রাজপ্রাসাদের সীমা অতিক্ৰম করিয়া তাহারা যখন জেনানা-প্রাসাদের পথ ধরিলেন, তখন মিঃ মিলার প্রহরীকে এড়াইবার জন্য দ্রুত চিন্তা করিতেছিলেন । তিনি বিশেষর পেই বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, প্রহরী তাঁহাকে সোজা সেনাপতির নিকট পৌছাইয়া দিবে অথাৎ তাঁহাকে জলস্ত অগ্নির ভিতর নিক্ষেপ করিবে। তিনি চলিতে চলিতে পথের উপর অকস্মাৎ বসিয়া পড়িয়া কহিলেন, “আমার বড় মাথা ঘরেছে প্রহরী, আমি একটু শীতল বাতাসে থাকতে চাই । এই নাও ভাই, তোমার পারিশ্রমিক।” এই বলিয়া তিনি একখানি দশ টাকার নোট প্রহরীর হাতে তুলিয়া দিলেন। প্রহরী নোটখানির অঙ্ক দেখিয়া অত্যন্ত খুশি হইয়া কহিল, “মাথায় একটু বাতাস দেব ?” "না না, কিছল প্রয়োজন নেই । আমি একটু বসে থাকলেই ভাল হয়ে যাবো । মিথ্যে কাট করবে, তুমি যাও । মিঃ মিলার দ্রত কণ্ঠে কহিলেন । প্রহরী চিস্তিত মুখে কহিল, “কিন্তু যদি অফিসার জিজ্ঞাসা করেন--” বাধা দিয়া বেদুইন বেশী মিঃ মিলার কহিলেন, “বোলো যে, তুমি আমাকে সেনাপতির হাতে তুলে দিয়ে গিয়েছ । তুমি আমার বন্ধ, তোমার অনিষট কি আমি করতে পারি ? তুমি যাও।” প্রহরী খুশি মনে চলিয়া গেল। পরমহমতে চারিজন সৈন্য নিঃশব্দ গতিতে সেখানে আবিভূত হইল এবং মিঃ মিলার কিছল বুঝিতে পারিবার পবেই তাঁহাকে বন্দী করিয়া ফেলিল। একজন তাঁহার দুই পকেটে হাত ভরিয়া দু'টি রিভলভার টানিয়া বাহির করিল ও কহিল, "চলিয়ে মিলার সাব, চলিয়ে ।” মিঃ মিলার সবিস্ময়ে সৈনিকের মুখের দিকে চাহিলেন ; কিন্তু কিছুই ধারণা করিতে পারিলেন না। অবশেষে তিনি শত্র-হস্তে বন্দী হইলেন । ( २२ ) x পরদিন প্রভাতে উঠিয়া মিঃ জোনস প্রাতঃকৃত্য সমাধান্থে ব্রেকফাস্ট খাইতে গিয়া শুনিলেন, মিঃ মিলার তখনও শয্যাত্যাগ করেন নাই। তিনি ঈষৎ বিস্মিত হইয়া ব্রেকফাস্ট খাইলেন এবং মিঃ মিলারের শয়ন-কক্ষের সম্মখে আসিয়া দ্বারে মদন করাঘাত করিয়া তাঁহার নাম ধরিয়া ডাকিতে লাগিলেন। কিন্তু কোন উত্তর না পাইয়া তিনি দ্বার ঠেলিয়া দেখিলেন, মিঃ মিলার নাই । তিনি সবিসময়ে ভাবিলেন, "তলে কি সে প্রত্যুষেই কোন কাজে বাহির হইয়াছে ? হইবে ” মিঃ জোনস আপন কক্ষে আসিয়া সংবাদপত্র পাঠে মনোনিবেশ করিলেন। কিন্তু তাঁহার মন সুস্থির হইতে চাহিল না । কারণ মহারাজা বিক্রমপ্রসাদ যে মিঃ মিলারকে সন্দেহ করিয়াছেন এবং তাঁহার প্রাণ লইবার জন্য জঘন্য উপায় অবলম্বন করিয়াছেন, তাহা জানিতেন বলিয়াই তাঁহার উদ্বেগের মাত্রা বন্ধি পাইতে লাগিল। অবশেষে