ձՏՀ মোহন অমনিবাস 釋 জোনস আপনাকে আপনি প্রশ্ন করিলেন, “যদি আমার আসল পরিচয় প্রকাশি৬ হইয়া পড়িত, তাহা হইলে সেনাপতি কি আমাকে তাহার নিজস্ব বাঙলোয় আয়ঞ্জাধীনে পাইয়াও এরুপ অবহেলা দেখাইতে পারিত ? না, তাহা আদৌ সম্ভব ছিল। কিবা এমনও হইতে পারে, আমার নিকট হইতে প্রতিশ্রত লক্ষ টাকা গ্রহণ করিা তবে আমাকে গ্রেফতার কারবে অথবা হত্যা করিবে ? মিঃ জোনসের মুখমণ্ডল অস্বাভাবিক রপে চিন্তাগ্রস্ত হইয়া গম্ভীর আকার ধারণ করিল। ট্যাক্সি হোটেলে উপস্থিত হইলে তিনি ভাড়া দিয়া হোটেলের ভিতরে প্রবেশ করিলেন। হোটেলের চাপরাসী ও ভৃত্যদের প্রশ্ন করিয়া কিছু সন্তোষজনক সন্ধাপ না পাইয়া তিনি বহনক্ষণ ধরিয়া বহু চিন্তা করিলেন, পরে ট্রাঙ্ক-কল করিয়া কলিকাতায় কমিশনারের সহিত মিঃ মিলারের অন্তধ্বনি সম্বন্ধে ও ভবিষ্যৎ কমপন্হা সম্বন্ধে বহন সময় ধরিয়া আলাপ করিতে লাগিলেন। অবশেষে মিঃ জোনস অপেক্ষাকৃত লঘু মনে হোটেল হইতে বাহির হইয়া পড়িলেন । ( ২৩ ) মহারাজার খাস চেম্বারে মহারাজা ও সেনাপতি তরুণ মিত্র কথা কহিতেছিলেন। মহারাজা বলিতেছিলেন, “আমি শুনেছি, ওই হতভাগার একজন সহকারীও এখানে এসেছে, সেনাপতি । তাকেও গ্রেফতার করা চাই । আমি তোমার কাজ দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমি তোমার সম্বন্ধে বিশেষ ভাবে বিবেচনা করব ।” সেনাপতি কহিল, “মহারাজার প্রসন্নতাই আমার বিশেষ পরস্কার । আমি নিছক কৌতুহলের বশে মিলারকে গ্রেফতার করেছিলাম। কারণ ফটকের অফিসার আমার নিকট সংবাদ পাঠালেন যে, আমার বেদুইন ভূত্য দেখা করতে চায়। তখনই আমার সন্দেহ হয়েছিল। আমি অফিসারকে অনুমতি দেবার আদেশ দিয়েছিলাম । ফলে দত্টেকে গ্রেফতার করা সহজ হয়েছে ।” মহারাজা বিক্রমপ্রসাদ চিন্তাবিত মন্খে কহিলেন, “কিন্তু প্রশ্ন এই একজন, দ'জন অথবা দশজনকে গ্রেফতার করা নয়, সেনাপতি। এ সবের পিছনে ভারত গভন'মেন্টের অনুপ্রেরণা রয়েছে—আসল কথা হচ্ছে ঐখানে আমি ভাবছি, ন;" জন অফিসার যখন আমার রাজ্যের রাজধানীতে এসে আমার বিরদ্ধে অনুসন্ধামকাৰ্য চালাতে মনস্থ করেছে, তখন এর পিছনে যে বিরাট আয়োজন চলেছে, তা কি তুমি ধারণা করতে পারো না, সেনাপতি ?” সেনাপতি কহিল, “আপনিই বলন, মহারাজ।” মহারাজা কহিলেন, “আমার মনে হয়, দম্য মোহন এবারে গভনমেন্টকে প্রভাবিত করবার জন্য বিশেষ ভাবে চেষটা করছে । ফলে এই দুজন অফিসারের এখানে আগমন সম্ভব হয়েছে। আমার মনে হয়, আমাদের বিশেষ সতক" হবার সময় উপস্থিত হয়েছে।” সেনাপতি নিরীহ স্বরে কহিল, "কিন্তু আমার একটি নিবেদন আছে, মহারাজ।* মহারাজা বিক্রমপ্রসাদের মুখ গম্ভীর হইয়া উঠিল । তিনি কহিলেন, “বুঝেছি,
