পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারী-প্রাতা মোহন ●እዊ লোকটি কিছ: বুঝিবার পবেই বন্দী হইল এবং কিছু বলিবার পথেই সৈনিকেরা তাহাকে লইয়া অন্ধকারের মধ্যে অদৃশ্য হইল । এমন সময় মুবেদার-মেজর আসিয়া সেনাপতিকে স্যালিউট করিল । সেনাপতি কহিল, "মিঃ জোনস কোথায় ?” সুবেদার-মেজর কহিল, "বিশ্বাসঘাতক পালাচ্ছিল, হজের । এইমাত্র আমার অনুচরেরা তাকে বন্দী ক'রে এনেছে ।” সেনাপতি সোল্লাসে বলিয়া উঠিল, “চমৎকার ! তোমাকে আমি সেনাপতি করব, মেজর । আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি।" “হাজারের খুশিই অধীনের সব চেয়ে বড়ো পরস্কার ।" এই বলিয়া মেজর পনেশচ অভিবাদন করিল। "আর কোন সংবাদ জানো ?” সেনাপতি প্রশন করিল। "জানি, হজের । আক্রমণের সম্ভাবনা নিকটবতী ও নিশ্চিত হয়েছে। আগামী কাল দ্বিপহরের মধ্যেই আমরা আক্ৰান্ত হ’তে পারি।” মেজর জানাইল । “হ: পারি।" চিন্তিত সবরে সেনাপতি কহিল, "তোমরা প্রস্তুত, মেজর ?" সবেদার-মেজর সসম্ভ্ৰমে কহিল, "সম্পণেরপে, সেনাপতি ।" *আচ্ছা, যাও । মহারাজের আসবার সময় হয়েছে ; আমি অত্যন্ত ব্যস্ত আছি ।” সবেদার-মেজর অভিবাদনাস্তে প্রস্থান করিল। সঙ্গে সঙ্গে একজন সৈনিকজমাদার প্রবেশ করিয়া সালিউট দিয়া কহিল, “মহারাজা এসেছেন, হজের ।” "উত্তম । এই বলিয়া সেনাপতি দ্রুত একটি শিবিরের দিকে প্রস্থান করিল। মহারাজা বিক্রমপ্রসাদের পশ্চাতে সেনাপতি চলিতে চলিতে কহিল, “আমি বহন করদরাজ্যে ভ্রমণ করেছি, কিন্তু এমন সরক্ষিতভাবে জীবন যাপন করছেন, ঠিক এরপে দেখিনি, মহারাজ। এমন বিরাট একটা অনুষ্ঠান যে এমন সশেsেখলে চালানো যেতে পারে, দেখার প্রবে* আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারতাম না, মহারাজ।” মহারাজা বিক্রমপ্রসাদ প্রফুল্ল মুখে কহিলেন, “তোমার কম ক্ষমতাও অসাধারণ, সেনাপতি। আমি আর একটিমাত্র লোককে জানতাম, তাছাড়া তৃতীয় ব্যক্তি আছে বলে বিশ্ববাস করিনে ৷” of সেনাপতির মখ গম্ভীর হইল উঠিল। সে কহিল, “আমি বঝেছি মহারাজ, আপনি কাকে স্মরণ করেছেন। কিন্তু যে দস্য প্রাণভয়ে দিনের আলোয় বার হতে পারে না, তার সঙ্গে তুলনা করে অধম ভৃত্যকে আরও অধম ক'রে দিচ্ছেন, মহারাজ ।” মহারাজা সহসা সশব্দে হাস্য করিয়া উঠিলেন। হাসির বেগ কমিলে কহিলেন, “প্রাসাদে এসে পড়েছি সেনাপতি, এখন তোমার অভিযোগ থাক।” এই বলিয়া তিনি দেউড়ির ঘড়িতে তিনবার আঘাত করিলেন। আঘাতের ঝন ঝন বাণী বাতাসে মিলাইয়া যাইবার প্বেই দুইজন ভীমকায় খোজা উলঙ্গ কৃপাণ হস্তে বাহির হইয়া আসিল এবং মহারাজাকে দেখিয়া আভূমি নত হইয়া অভিবাদন করিল। মহারাজা কহিলেন, "দেউড়ি মুক্ত করো।" সশব্দে লৌহ-ফটক মন্ত হইয়া গেল। মহারাজা ভিতরে প্রবেশ করিলেন ।