পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারী-তাতা মোহন &సిపి” থামিয়া গেল। মহারাজা কহিলেন, “মাত্র একটি পদাঘাতে ভূভাগ দভোগ হয়ে গিয়ে এক বৃহৎ সড়ঙ্গ-পথ বার হয়ে পড়ত এবং প্রাসাদের চারিদিকের ময়দান এমন ভীষণভাবে কল্পিত হ’তে আরম্ভ করতো যে, কোন মানুষের পক্ষে এক মহতও স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভবপর হত না ।” সেনাপতি নিবাক হইয়া স্তবধ বিস্ময়ে চাহিয়া রহিল। তাহার সম্মুখে যাহা ঘটিয়া গেল, বাহা সে শুনিল, তাহাতে তাহার বিসময়ের আর অন্ত রহিল না । সে বহনক্ষণ পরে কহিল, "এমন অদশ্য ভাবে এমন কায"করী বিস্ময়ও সম্ভব, মহারাজ ? আমাকে কি এর বিষয় বিশদভাবে জানাতে পারেন না ?” "নিশ্চয় পারি, সেনাপতি । কিন্তু আজ নয়, সময় হবে না। চল তোমাকে জেনানা-মহল দেখিয়ে আনি ৷" এই বলিয়া মহারাজ অগ্রসর হইলেন । সেনাপতি ক্ষুন্নমনে মহারাজাকে অনসরণ করিল। তাহার একান্ত ইচ্ছা হইতেছিল যে, সে এই বিস্ময়কর ইঞ্জিনীয়ারিং সমবন্ধে বাস্তব অভিজ্ঞতা অজ’ন করিয়া যায়। কিন্তু তাহা যখন সম্ভব নয়, তখন মহারাজাকে এক সময়ে কহিল, "ষিনি এমন বন্ধি-নৈপুণ্য প্রকাশ করেছেন, তিনি মারা গেছেন, মহারাজ ?” "হাঁ, সেনাপতি । তিনি আজ দু'বৎসর হ’ল মারা গেছেন।” এই বলিয়া মহারাজা এক স্থানে দাঁড়াইয়া পড়িলেন এবং সেখানে অপেক্ষমাণ একটি মহিলার দিকে চাহিয়া কহিলেন, “সব প্রস্তুত ?” "হাঁ, মহারাজ।” মহিলা কহিল । মহারাজার পশ্চাতে সেনাপতি জেনানা-মহলে প্রবেশ করিল। পত্তন হইবার পর হইতে কুন্তাপি মহারাঞ্জা ভিন্ন অন্য কোন পরিষের দ্বারা যে মহল স্পষ্ট হয় নাই, আজ তাহাই হইল । সেনাপতির চক্ষর সম্মুখে অকস্মাৎ অমরাবতীর আবিভাব হইল। একটি অতি বাহৎ স্বপ্রশস্ত হলঘরে সারি সারি সহস্র বাতি-ঝাড় জনলিতেছিল। তীব্র আলোকে হলঘরটি দিবালোকের মত উeজবল আভা ধারণ করিয়াছিল । সেই প্রশস্ত হলঘর ব্যাপিয়া মল্যবান গালিচা ও ভেলভেট আন্তরণে স্বকোমল, স্বদীঘ শ্যা রচিত ছিল। শয্যার উপর দেববালা-নিন্দিত রূপসী তরুণীকুল দলে দলে স্থানে স্থানে বসিয়া খেলিতেছিল, হাসিতেছিল, গল্প করিতেছিল ; আবার কেহ বা পন্তেক পাঠ করিতেছিল। পরিষে সংস্রবহীন নারী-মহলে নারীরা-য়েরপে আপনাদের মধ্যে উদ্বেগহীন, সরমহীন বেশে সচিজত থাকে অথfং অপ্রচুরভাবে দেহসঞ্জা করিয়া রাখে, এখানেও তাহার ব্যতিক্রম ছিল না । সেনাপতি সহসা এরপ পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হইয়া বিষম বিব্রত হইয়া কহিল, “মহারাজ, এ’রা বিবসরপ্রায় হয়ে আছেন ; আসন আমরা বাইরে যাই।” এই বলিয়া সেনাপতি দ্রতপদে কক্ষের বাহিয়ে গিয়া नौप्लाझेल । মহারাজা সশব্দে হাস্য করিয়া উঠিতে রমণীকুল চমকিত হইয়া তাহদের মধ্যে মহারাজার আগমন হইয়াছে বুঝিতে পারিয়া সম্প্রস্ত হইয়া উঠিল এবং সকলে সসংবত হইয়া মহারাজাকে অভিবাদন করিল। সেনাপতি পনশ্চ প্রবেশ করিলে মহারাজা নতম্বরে কহিলেন, "এই শিকারগুলি