পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& O মোহন অমনিবাস নেই । তোমার মনের পরিচয় পেয়ে, দীপা, আমার গবের আর অন্ত নেই। আমি আশীবাদ করি, তুমি সখী হও, বোন ।” দীপালী সহসা গড় হইয়া রমাকে প্রণাম করিল। রমা তাহাকে বক্ষে ধরিয়া চুম্বন করিল। দীপালী ধীর সবরে কহিল, "দাদা কবে আসবেন, দিদি ?" “কবে ? যেদিন আমাদের তাঁকে না হ’লে আর চলবে না, সেই দিনই তিনি আসবেন, দীপা ।” রমা দঢ় সবরে কহিল । দীপালী কহিল, "আপনি এসেছেন, তিনি জানেন ?” “এমন কিছু আমার নেই, দীপা, যা’ তিনি জানেন না।” রমার মথে অপব: ভাবব্যঞ্জনা মত হইল। ( Sớ ) সহসা একসঙ্গে প্রায় তিন শত কয়েদী অলপদিনের জন্য আসিয়া জেলার ও জেলসপোরকে বিৱত করিয়া তুলিল । সুপার তখন জেলারকে আদেশ দিলেন, “যখন মাত্র দল সপ্তাহের জন্য এরা এসেছে, তখন পৃথক পৃথক ভাবে না রেখে, এদের একসঙ্গে রাখবার বন্দোবসত করন।” জেলার তাহাই করিলেন। একটি দীঘ হলে দুই শত আশি জন কয়েদীকে রাখিবার বন্দোবস্ত হইল । ইহাতে জেল-কতৃপক্ষও দভাবনা হইতে মন্ত হইলেন এবং মোহনের সহকমী'গণও আনন্দিত হইল। তাহারা বিশ্রাম-অবসরে আপনাদের কমপন্হা বিনা ঝঞ্চাটে, বিনা বাধায় আলোচনা করিবার স্বাধীনতা পাইল । যে দস্যটি সেদিন তাহাদের সভায় সভাপতিত্ব করিয়াছিল, তাহার নাম বিশ্বনাথ ওরফে বিশ । বিশ্ব ডাকাত সে সময় নাম ও বিশেষ কু-খ্যাতি অজন করিয়াছিল। চতুর্থ জেল-প্রবাস রাত্রের সন্ধ্যায় নিদিষ্ট সময়ে হলে প্রবেশ করাইয়া ওয়াডারগণ ও প্রহরীগণ দ্বার চাবি বন্ধ করিয়া চলিয়া যাইবার পর বিশ কহিল, “বিলাসবাবা, এদিকে এস।” శసి মোহনের অতি বিবস্ত, অনগত ভূত্য বিলাস আদেশ পালন কুরিয়া কহিল, "আপনি কি বলছ ?” ക് “আজ কত তোমাকেও দেখেছে, না ?” বিশ প্রশ্ন করিল। বিলাস খুশি মনে মন্তক দোলাইয়া কহিল, “আলবত দেখেছে।" "কিছু ইশারা করলেন " বিশ কহিল। বিলাসের মুখমণ্ডল কুঞ্চিত হইয়া উঠিল ; কহিল, “না। তবে কত প্রথমে অবাক হয়ে চাইলেন, তারপর যেন একটু হাসলেন।” বিশ খুশি হইয়া কহিল, “হেসেছেন ? তা’ হ’লে কতা আমাদের উদ্দেশ্য ঠিক বঝেতে পেরেছেন । যাক, এদিকের ব্যাপারে এক রকম নিশ্চিন্ত হওয়া গেল।” অন্যান্য কয়েকজন সহচর আগ্রহ ভরে শনিতেছিল ; একজন কহিল, “কি ব্যাপারে নিশ্চিত হলম ?” বিশ প্রশ্ন-কতার দিকে কটমট দটিতে চাহিয়া কহিল, “এই সামান্য কথাটাও । (షో)