পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6:8 মোহন অমনিবাস অতঃপর মোহন শান্ত, স্বাভাবিক জীবন যাপন করিবে—কোন প্রকার বেআই। কায-কলাপে রত হইবে না। আমরা ইহাও জানি যে, শ্ৰীমতী রমাকে বিবাহ কীি বার পর মোহন শান্তিময় জীবনযাপনের অভিলাষ একাধিকবার ঘোষণা করি। ছিল । সুতরাং ‘দস্ল্য’ নাম হইতে মলক্তি পাইবার পর সে স্বতঃই শাস্ত ও আইন-সঙ্গ পথে চলিবার জন্য উদগ্রীব হইয়া পড়িয়াছিল । আমাদের এই বিশ্বাস, এ ঘটনায় সমথিত হয় যে, উক্ত অভিভাবকের নিকট গমন করিয়া মোহন আপন পরিচয় দিয়া বলে যে, এই বিবাহ হইতে পারিবে না, কিছুতেই না । তা ধতে এই বলিয়া সেদিন মোহনকে নিরস্ত করে যে, সে ভাবিয়া দেখিবে পরবতী তৃতীয় দিবসে তাহার অভিমত তাহাকে জানাইবে । “ইতোমধ্যে ধতে অভিভাবক পলিসে সংবাদ দেয় যে, দস্থ্য মোহন তাহাকে দেখাইয়া অথ* আদায়ের চেন্টা করিতেছে । ইহার পর যে ঠিক কি ঘটে জানি না, কিন্তু সংবাদপত্রে দেখিতে পাই, ব্ল্যাকমেলিং চাঞ্জে" পুলিস মো গ্রেফতার করিয়াছেন । “বতমানে মোহন হাজতে বিচারের প্রতীক্ষায় দিন-যাপন করিতেছে। ধ অভিভাবক এই সমযোগে তাহার পাগল-পত্রের সহিত কুবের-কন্যার বিবাহ-ক সমাধা করিবার জন্য উঠিয়া-পড়িয়া লাগিয়াছে । আমরা কতৃপক্ষের দটি এ আকুট করিয়াছিলাম ; শুনিতেছি, তাঁহারা অনুসন্ধান করিয়া জানিয়াছেন যে, অভিভাবকের পত্র যে-কোন মেয়েকে বিবাহ করিতে সক্ষপণেরপে উপযুক্ত । “এই আমাদের নিবেদন । আপনার বহুল-প্রচারিত পত্রিকা মারফত সংবাদটি সাধারণের নিকট ঘোষণা করিতেছি। আমরা উক্ত অভিভাবকের না ঠিকানা এবং হতভাগিনী বালিকার নাম ও পিতার নাম লিখিতে বিরত হই কারণ শীঘ্রই মামলার বিবরণ প্রকাশ কালে সংবাদপত্র মারফত তাহা পাঠ জানিতে পারিবেন। “আমরা হতাশ হইয়া ভাবিতেছি, রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, তবে বিধৃতাও ব রক্ষা করিতে পারেন না । ইতি-- জনৈকা গ মোহন লেখিকার ছদ্মনামটির দিকে অনন্যমনা হইয়া চাহিয়া রহিল। ধীরে তাহার মুখ চিন্তা-রেখা-শন্য হইয়া আলোকিত হইয়া উঠিল। সে কণ্ঠে আপনাকে আপনি কহিল, “এইবার বুঝেছি, এমন নিপুণ ভাবে, এমন ি বিবরণ কে লিখতে পারে । আমার রানী । রানী । রানী " মোহনের দু'টি চক্ষ আরেশে মাদিত হইয়া আসিল । সে সংবাদ-পত্ৰখানি চাপিয়া বসিয়া রহিল । এমন সময়ে তাহার কণে একটি পরিচিত স্বর প্রে করিল, “মোহন !” ( ১৬ ) মোহন ধীরে ধীরে চক্ষু মেলিয়া দেখিল, মিঃ বেকার-তাহার মাখের দি৭ে চাহিয়া হাসিতেছেন ।