পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ሆ মোহন অমনিবাস পশ্চাতের লৌহদ্বার ঘড়ঘড় শব্দে মন্ত হইয়া গেল এবং সব প্রথমেই বিশ;t তাহার পশ্চাতে বিলাস ফটকে প্রবেশ করিয়া অনতিদারে দাঁড়াইল এবং হাড়নে করিয়া সেই বিশাল জনতা গেট-ফটকের ভিতরে প্রবেশ করিবামাত্র, যেমন দ্বারী খা বন্ধ করিতে যাইবে, অমনি বিশরে রিভলভার গজিয়া উঠিল। দ্বারী ‘বাবা ক্ষে বলিয়া একটা শব্দ করিয়া তৎক্ষণাৎ জ্ঞান হারাইয়া পড়িয়া গেল । কোথা হইতে কি হইল বুঝিবার পবেই যে কয়জন সঙ্গিনধারী সশস্ত্র মিলিটা রক্ষী তাহাদের সঙ্গে ছিল, তাহারা পরমহমতে বলেট ভরা বন্দকে সমেত লটাং পড়িল । ওয়াডারগণ বিহবল হইয়া পড়িয়াছিল, কিন্তু তৎক্ষণাৎ তাহারা চীৎক করিতে করিতে কে কোথায় অন্ধকারে মিশিয়া গেল, তাহা বোঝা গেল না। বিশ উদ্দীপ্ত কণ্ঠে তাহার সহকারীদিগকে উদ্দেশ্য করিয়া জলদমন্ত্র কা কহিল, “ভাই সব ! একটা মহেনতেও নটি করবার সময় নেই। এস, আমা.ে উদ্দেশ্য সাধন করে, কতাকে উদ্ধার ক’রে বেরিয়ে যাই ।” সকলে উল্লাস ধর্মনিতে সারা জেল-প্রাঙ্গণ কম্পিত করিয়া তুলিল এবং রিভ ভারের শব্দ করিতে করিতে বিশর পশ্চাতে দ্রুতবেগে অগ্রসর হইতে লাগিল । এমন সময় সমস্ত জেল কম্পিত করিয়া পাগলা-ঘটি অট্রনিনাদে বাজিt লাগিল। জেল-শীষে বহৎ বহৎ সাচ'লাইট জীবন্ত হইয়া চারিদিকে আলোক বিকী করিতে লাগিল । জেলের মিলিটারী সৈন্য বন্দকে লইয়া ছাটাছুটি আরম্ভ করি দিল । তাহারা বিদ্রোহীদিগকে পাইবার পুবেই বিশ ও তাহার সহচরগণ মোহনে সেলে উপস্থিত হইয়া, প্রহরীকে গলিবিন্ধ করিল এবং দ্বার মুক্ত করিয়া কহিল “কত বার হয়ে আসুন, কাররে সাধ্যি নেই আপনাকে জেলে পরে রাখে ।” | মোহন শাস্ত ও সংযত সবরে কহিল, "কে তোমাদের এমন কাজ করতে উপদেশ দিয়েছিল, বিশ ? যেই দিয়ে থাকুক, কাজ ভাল করো নি। আমি যাবো না তোমরা যাও।” s “ষাবেন না, কতা ?” বিলাস একেবারে মোহনের পায়ের তলায় লটাইয়া পড়িল মোহন গম্ভীর স্বরে কহিল,"আমি বলেছি, যাবো না। যখন প্রয়োজন হবে তখনই যাবো, তোমরা বাঁচতে চাও-তো আর একটি মহত্যও দেরি কোরো না। যাও, নইলে সবাইকে মরতে হবে ।” _&لاہ’’ বিশ ও বিলাস তাহাদের প্রভুকে চিনিত, প্রভুর স্বর বঝিত। তাহারা নিঃসন্দেহে বুঝিল, তাহারা ভুল করিয়াছে । বিশ নত হইয়া প্রণাম করিয়া একটা অট্টরবে চীৎকার করিয়া কহিল, “চল ভাই সব, কত এখন যাবেন না, তাঁর কাজ শেষ হয় নি। আমাদের যেতে আদেশ দিয়েছেন। আমরা যাবো । ওই যে ওরা ঘণ্টা বাজিয়ে, আলো ফেলে, বন্দকে দেগে, আমাদের ভয় দেখাতে শুরু করেছে ; ওদের দেখিয়ে দিয়ে যাবো, আমরা যখন যেতে চাই, তখনই যাই । কাররে সাধ্যি নেই আমাদের গতি রোধ করে । বল, জয় মোহনের জয় ।” “জয় !" শব্দে জেল কাঁপিয়া উঠিল । তাহার পর এক অসম্ভব ঘটনা ঘটিয়া গেল। সেই প্রায় তিনশত দস্থ্য দৃঢ় পদক্ষেপে মাচ’ করিয়া রিভলভারের বলেট চারিদিকে