વર মোহন অমনিবাস কর, নইলে---” মোহন ভ্ৰ কুঞ্চিত করিয়া কহিল, “নইলে কী ?” এই বলিয়াই পনেশ্চ কহিল, “আজ ঘড়িটা বোধ হয় বাঙলোতে রেখে এসেছেন ?" “চুলোয় যাক ঘড়ি। আমার প্রশ্নের জবাব দাও, মোহন ।” তীব্র স্বরে মিঃ মিলার কহিলেন । “কি প্রশ্ন ” নিরীহ স্বরে মোহন জিজ্ঞাসা করিল। মিঃ মিলারের ধৈষ্যচ্যুতি ঘটিল ; তিনি অকস্মাৎ উঠিয়া দাঁড়াইলেন । মোহনের মনে হইল, মিলার যেন তাহাকে আক্ৰমণ করিবার জন্য উদ্যত হইয়াছেন । মোহন বিদ্যুদ্বেগে উঠিয়া দাঁড়াইল এবং মিলারের যে-বজ্রমটিiট তাহার মাথার উপর নামিয়া আসিতেছিল বলিয়া তাহার অনুমান হইয়াছিল, তাহা ধরিয়া ফেলিল এবং তাঁহার হাতে এমন একটু চাপ দিল যে, মিঃ মিলার আত্ম-মযদিা, পদ-মযদিা, মিঃ বেকারের উপস্থিতি সব কিছু ভুলিয়া আত্মবরে চীৎকার করিয়া উঠিলেন এবং কলের পতুলের মত অঙ্গভঙ্গী সহকারে নত্য আরম্ভ করিলেন । এই ঘটনা লিখিতে যত সময় লাগিল, ঘটিতে শতাংশের একাংশ সময় লাগিল না। এই ঘটনা এরুপ আকস্মিক ঘটিয়া গেল যে, মিঃ বেকার কিছ: বুঝিবার পুবেই মোহন মিঃ মিলারের হাত ছাড়িয়া দিয়া গম্ভীর অথচ শাস্ত স্বরে কহিল, "ভবিষ্যতে ভদ্রতা ও অপরের মযাদাজ্ঞান যাতে মেনে চলতে পারেন, সেজন্য একটু শিক্ষা দিয়ে। রাখলাম, মিঃ মিলার । আপনার হাত যদিও শীঘ্ন আরোগ্য হবে, কিন্তু হাতের দাগ কিছুকাল থাকবে । আপনার মনে এই ঘটনা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে ।” মিঃ বেকার মিঃ মিলারের দিকে চাহিয়া শধ্যে কহিলেন, “ছিঃ, মিঃ মিলার ।" মিঃ মিলার বাম হাতে ডান হাতের কবজি ধরিয়া সেল হইতে বাহির হইয়া গেলেন । মোহন মদ হাস্যমুখে কহিল, “বিশেষ গরতের কিছু হয় নি। তারপর মিঃ বেকার ? তোমার অনুসন্ধানের কি হল বল, শুনি ?” 2$ò মিঃ বেকার কহিলেন, “বিজ্ঞাপনে বধবারে যেখানের ঠিকানায় যেতে বলেছে সেখানটা একটা চায়ের দোকান। আর শনিবারে যেখানে যেত্তেরলেছে, সেটা হচ্ছে হরিপুরে কুমার বাহাদরের আস্তাবল-বাড়ী ।” ప్ర్ర মোহন মদ হাস্য করিয়া কহিল, “আমিও এমন কিছু আশঙ্কা করেছিলাম।” মিঃ বেকার সন্দিগধ স্বরে কহিলেন, “পল্ট করে বলো, মোহন।" মোহন হাস্য মুখে কহিল, “বন্ধ আগামী শনিবার হরিপরে কুমার বাহাদরের বাড়ীতে ডাকাতি হবে ।” মিঃ বেকার অসহ বিস্ময়ের সহিত কহিলেন, “ডাকাতি হবে ?” "হাঁ, হবে। আর এদের দ্বারাই হবে, যাঁরা কখনও বাড়ী থেকে বার হয় নি, কোন লোকের সঙ্গে দেখা করে নি, কোন সন্দেহজনক কাজ করে নি।” এই বলিয়া মোহন হাসিতে লাগিল । মিঃ বেকার বিজ্ঞারিত দটিতে চাহিয়া কহিলেন, “আমাকে তুমি সব বলো,
