নাগরিক মোহন Գ Ֆ গিছানার উপর শইয়া পড়িল । তখনও দশ মিনিট অতিবাহিত হয় নাই । জেলার ও একজন সাজেণ্ট আসিয়া মোহনের সেলে প্রবেশ করিয়া কহিলেন, “মোহন, আগামী ২৩শে তারিখে তোমার কেস আছে। ঐ দিনে ঠিক সময়ে হাজির হবে জেনে, আমরা তোমাকে তোমারই দায়িত্বে মুক্তি দিলাম। তুমি বেরিয়ে এসো।” মোহন মদে হাস্য মুখে উঠিয়া দাঁড়াইল এবং বাহির হইতে উদ্যত হইয়া কহিল, "আমার ছড়ি, ঘড়ি ?” মোহনের ছড়ি, ঘড়ি এবং টাকার ব্যাগ লইয়া বাহিরে একজন ওয়াডার অপেক্ষা করিতেছিল ; জেলার কহিলেন, “বাইরে চল । সবই পাবে ।” মোহন শুধু কহিল, “ধন্যবাদ ” ( &o ) করালীচরণ পাগলের মত প্রাসাদের ড্রইং-রমে বসিয়া আটরবে হাসিতেছিল । কক্ষে দ্বিতীয় জনপ্রাণী ছিল না। যে-ভৃত্য দ্বারের বাহিরে আদেশের প্রতীক্ষায় পাকিত, সে দদস্তি প্রভুকে এরপে ভাবে বিকট হাস্য করিতে শুনিয়া দারণে ভয়ে কণ্টকিত হইয়া দরে সরিয়া গেল । মিসেস গুপ্তারপিণী গভনেস শ্ৰীমতী রমা করালীচরণের আহবানে ড্রইং-রমে প্রবেশ করিয়াই ভীত হইয়া দ্রতপদে বাহিরে আসিবার উপক্ৰম করিতেই, করালাঁচরণ অস্থির ও হাস্য-বিকৃত সবরে কহিল, "যেও না, আরে যেও না, মিসেস গুপ্তা, শোন এদিকে ” এই বলিয়া তাহার হাস্য বেগ অতি কটে প্রশমিত করিয়া পনশচ কহিল, "আর, আমি হাসছি একটা কথা মনে পড়ে গেল বোলে। শনবে তুমি ?” এই বলিয়া সে আবার হাসিয়া উঠিল । রমা বিরক্তি চাপিয়া কহিল, "শোনবার প্রয়োজন নেই । কিন্তু আমাকে কি জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন, বলনে ?” శసి করালীচরণ তপ্ত হইয়া উঠিল। কহিল, “প্রয়োজন আছে । মোহন—আরে দস্থ্য মোহন মিলার সাহেবকে এমন কামড়ে দিয়েছে যে, বাছুঞ্জিনকে এখন আরও দীঘ কিছুদিন হাজতে বাস করতে হবে।” ్సు" রমা আগ্রহ ভরে কহিল, "মিলার সাহেবকে ?” "আরে না না, দস্য মোহনকে । এই কথাই বলবার জন্য তোমাকে ডেকেছি। এইশা কামড়ে দিয়েছে---” এই বলিয়া করালীচরণ পুনশ্চ সবেগে হাস্য করিয়া (;ठिल । রমা বিশ্বাস করিতে না পারিয়া কহিল, “কামড়ে দিয়েছে ?” করালীচরণের মখে গভীর হইয়া উঠিল। কহিল, "কেন, তোমার বিশ্বাস হয় না, মিসেস গুপ্তা ?” রমা অস্থির হইয়া কহিল, "না, না, বিশ্ববাস-অবিশ্বাসের কথা নয়, আমি শধের জিজ্ঞাসা করেছি, কামড়ে দিয়েছে ?” ={E) Q ني