পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

懇ガ8 মোহন অমনিবাস | কিছুতেই তাঁহার সববের সহিত একমাত্র কন্যা-সন্তান দীপালাঁর অছি করিয়া যাইতে পারিতেন না । মোহন পুনশ্চ সিমলা স্ট্রীটে গমন করিয়া, হরিপদ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করিল কিন্তু কিছমাত্র সংবাদ সংগ্ৰহ করিতে পারিল না । মোহন দুশ্চিঞ্চায় পতিত হ অবশেযে সে রমানাথ মিত্রের প্রাসাদে আসিয়া দেখিল, মাত্র দুইজন পরাতন ভূত্য প্রাসাদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাখিয়া করালীচরণ সদলবলে অজ্ঞাত স্থানে যা করিয়াছে । মোহন মনে মনে হি চাব করিয়া দেখিল বিবাহের তারিখ আর মাত্র চার পরে । এই সময়টুকুর মধ্যে সে কি করিয়া বালিকাকে রক্ষা করিবে, ভাবিয়া না পা বিষম উত্তেজিত হইয়া উঠিল । সে একজন ভৃত্যের দিকে চাহিয়া কহিল, "হরি পদকে মনি আডারে টাকা পাঠানো হয়, না সে নিজে এসে নিয়ে যায় ?" বন্ধ বিস্মিত হইয়া কহিল, “কার কথা বলছেন আপনি, হজের " H উত্তেজিত মোহন অতি দঃখে হাসিয়া ফেলিল ; কহিল, “করালীবাব কোথায় গেছেন ?" ভূত্য মান সবরে কহিল, "আমাদের কোন কথাই বলে নি, হজের। এইটুকু জানি, ছোট মা'র শরীর অসুস্থ, তাই হাওয়া খাওয়াতে নিয়ে গেছেন। কোথায় গেছেন তf জানি না ।” মোহন দুই করতলের উপর মাথা রাখিয়া হেট হইয়া বসিল এবং গভীর ভাবে চিন্তা করিতে লাগিল । এক অপরিচিত ব্যক্তিকে এইরুপ ভাবে প্রশ্ন করিতে শুনিয়া এবং নিশিচন্ত মনে চিস্থা করিতে দেখিয়া, ভূত্য দুইজন অতিমাত্রায় অস্থির ও ভৗত হইয়া উঠিল । কারণ তাহাদের উপর করালীচরণের কঠিন আদেশ ছিল যে, তাহারা যেন কোন ব্যক্তিকে—তা’ সে পরিচিত হোক বা অপরিচিত হৌক-প্রসাদের ভিতর প্রবেশ করিতে না দেয় । কিন্তু এই ভদ্রলোক এমন আকস্মিক ভাবে ভিতরে মোটর লইয়া প্রবেশ করিয়াছিল যে, তাহাদের ইচ্ছা থাকিলেও বাধা দিতে পারে নাই। একজন কহিল, "হািজর, আমাদের কাজ আছে ।" * মোহন মখে তুলিয়া চাহিল। হাসি-মুখে কহিল, “আমার নেই।" বন্ধ কহিল, “হজর, কত যদি জানতে পারেন আপনাকে আমরা ভিতরে আসতে দিয়েছি, তা’ হ’লে চাকরি যাবে।” -E “যদি এক কাজ করতে পারো, যাবে না । কাজ করতে পারলে আমি তোমাদের প্রত্যেককে একশো টাকা পুরস্কার দেব। পারবে " মোহন প্রশ্ন করিল। ভূত্য দুইজনের মুখ উজ্জল হইয়া উঠিল। বন্ধ কহিল, “কি কাজ, হািজর " “তোমাদের হাজারের ড্রইংরমে আমি একবার যেতে চাই । চাবি আছে ?" মোহন উঠিয়া দাঁড়াইল । উভয় ভূত্যই এরপে ভাবে চমকিত হইয়া উঠিল ষে, তাহারা যেন ভূত দেখিয়াছেী উভয়েই এক সঙ্গে কহিল, "ওরে বাবা রে । ও কাজ পারব না, হজের ” মোহন হাসিতে হাসিতে কহিল, “তবে তোমাদের একটা গল্প বলি শোনো।