পাতা:মোহন অম্‌নিবাস দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগরিক মোহন bれq আপনার কথা শানে, আপনার কাজ দেখে মনে হচ্ছে, আপনি আমাদের বত'মান প্রভুর ওপর খুশি নন । তাই আমি আপনাকে সব কথা বলছি । উইলে কতf আমাকে যাবৎ জীবন প্রতিপালন করতে হবে বোলে আদেশ দিয়ে গেছেন। তাই অন্য সব চাকরকে করালীবাব তাড়ালেও আমাকে পারেন নি।” মোহন মদ হাসিয়া কহিল, “বটে ! তবে ছেলের বিয়েতে তোমাকে নিয়ে গেল nা-যে ?” ভূত্যের মুখ মান হইয়া উঠিল ; কহিল, “হজের, আমার রাজরানী-মা’র অদটেও এই ছিল।” বন্ধের চক্ষ ভরিয়া অশ্র জমিয়া উঠিল । মোহন সবিস্ময়ে এই পরাতন ভূতাটির দিকে চাহিয়া রহিল । বন্ধ পানশ্চ বলিতে লাগিল, “কত আমাকে আদর ক’রে যুধিষ্ঠির বোলে ডাকতেন । কারণ আমি ভুলেও কখনও চুরি করতে পারি নি, হজের, তা"ই তিনি আমার ওপর সদয় হ'য়ে উইলে পাঁচ হাজার টাকাও দিয়ে গেছেন । এমন মনিবের চাকরি করে, এখন-যে কি নরকে পড়েছি হজের, দিনরাত্তির ভাবি আর বলি, “ভগবান ! আমি আর চোখে দেখতে পারছি না, আমাকে মাও, আর কেন প্রভু’ ” মোহন পকেট হইতে দুইখানি একশত টাকার নোট বাহির করিয়া সহসা দ্বিধারান্ত হইয়া পড়িল । এই লোকটির মাথে যে-বাত্তাস্ত এইমাত্র সে শনিল, তাহার পরও কি ইহাকে টাকা দিয়া অপমানিত করিতে পারা যায় ? বন্ধ মোহনের মনোভাব বুঝিল ; চক্ষ মাছিয়া কহিল, “হাজারের আশীবাদই আমার সব । টাকার প্রয়োজন আমার নেই। এই ছেলেটিকে আপনি দিতে পারেন । লেচারা গরীব, আজ তিন মাস একটি টাকা মাইনে বলেও পায়নি ।” মোহন বালক-ভূত্যের হাতে একখানি নোট দিয়া কহিল, “শোন যুধিঠির, তোমার কথা শুনে আমি ভারি খুশি হয়েছি। আমি তোমার মনিবের মেয়ে দীপালীর বিবাহ বন্ধ করতে চাই । আর আশা করি তা হবেও । এখন এই পৰ্যন্ত শনে রাখো ।” ~&క মোহন বাহির হইবার উপক্ৰম করিতেই, ভূত্য দুইজন তাহাকে সশ্রদ্ধ মনে অভিবাদন করিল। মোহন বাহিরে আসিয়া মোটরে আরোহণ করিল। সোফার আদেশের জন্য অপেক্ষা করিলে, মোহন চিন্তিত স্বরে কহিল, “দমদম এরোড্রোম।” সোফার এক মহতে দ্বিধা করিল। পর মহাতে সুবৃহৎ গাড়ীখানি নিঃশব্দে উককা-গতিতে ধাবিত হইল । এরোড্রোমে উপস্থিত হইয়া মোহন অনুসন্ধান করিয়া জানিল যে, ডাকবাহী ইপিরিয়াল এয়ারওয়েজের এরোপ্লেন অদ্য প্রাতে কলিকাতা ত্যাগ করিয়াছে এবং আগামী পরশর পতবে কোন ডাক-প্লেন নাই । মোহন হিসাব করিয়া দেখিল, মাঝে মাত্র চারিটি দিন রহিয়াছে। এই অতি অলপ পময়ের মধ্যে হরিপদকে বাহির করিয়া কলিকাতায় আসা এবং আবশ্যকীয় আয়ো