পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Во У মোহন অমনিবাস মিঃ বেকার অতিমাত্রায় ক্রুদ্ধ ও বিস্মিত হইলেও ধৈর্য্য ধারণ করিয়া কহিলেন, “কে আপনি ? কি চান ?” ভদ্রলোক পকেট হইতে দশখানি এক হাজার টাকার নোট বাহির করিয়া মিঃ বেকারকে দেখাইয়া কহিলেন, “চেঞ্জ চাই।” i “উত্তম। আপনি যেতে পারেন।” মিঃ বেকার অনুমতি দিলেন। ভদ্রলোক হাস্যমুখে ভিতরে প্রবেশ করিলেন। কমিশনার কহিলেন, “কে ঐ লোকটা ? আপনাকে চেনে দেখছি।” মিঃ বেকার চিন্তিত মুখে কহিলেন, “যেই হোক, দসু মোহন নয়।” “এ সময়ে “যেই হোক কথার গুরুত্ব অনেকখানি, মিঃ বেকার। আমার মনে হয়, ভদ্রলোকটির পরিচয় জানা অত্যাবশ্যক। আপনি কি বলেন ?” কমিশনার প্রশ্ন করিলেন। মিঃ বেকার কহিলেন, “আমাকে বহু লোকই চেনেন, স্যার। সেজন্য চিন্তিত হবার প্রয়োজন নেই। অবশ্য একে দস্যু-মোহন ব’লে যদি বিন্দুমাত্র সন্দেহেরও অবকাশ থাকত, তা’ হ’লে আমি কোন কিছুই উপেক্ষা করতাম না।” - এমন সময়ে একজন মাড়োয়ারী ও একজন গুজরাটী ভদ্রলোক আগমন করিলেন। মিঃ বেকার প্রশ্ন করিলেন, “কি চান আপনারা ?” মাড়োয়ারী ভদ্রলোক অকারণে অট্টহাস্য করিয়া উঠিলেন। হাসির বেগ কমিলে কহিলেন, “আপনি যে দিনে ভূত দেখছেন, মিঃ বেকার।” এই বলিয়া পকেট হইতে এক তাড়া নোট বাহির করিয়া দেখাইয়া কহিলেন, “চেঞ্জ চাই।” “উত্তম। যেতে পারেন।” মিঃ বেকার গম্ভীর মুখে কহিলেন। - মাড়োয়ারী ভদ্রলোক দুই পা অগ্রসর হইয়া পিছন ফিরিয়া কহিলেন, “আইয়ে ভাইয়া?” গুজরাটী ভদ্রলোক বিশুদ্ধ ইংরাজী কহিলেন, “আমি যেতে পারি, মিঃ বেকার ?” মিঃ বেকার সবিস্ময়ে কহিলেন, “আমাকে আপনি চেনেন ?” গুজরাটী ভদ্রলোক কহিলেন, “আপনার মত স্বনামধন্য ব্যক্তিকে কে না চেনে, মিঃ বেকার ?” వీ “উত্তম! আপনি যেতে পারেন।” মিঃ বেকার অনুমতি দিলেন। সর্ব তাহারা সভয়ে প্রস্থান করিলে, কমিশনার কহিলেন, “যে কয়টি ব্যক্তি আমি আসবার পর এখানে এলেন, সকলেই আপনাকে চেনেন, এর হেতু তো বুঝছিনা, মিঃ বেকার।” মিঃ বেকার কহিলেন, “আপনার আসবার পূর্বেও যাঁরা গেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই আমাকে যে চেনেন, তা জানিয়ে গেছেন, স্যার।” কমিশনার চিস্তিত মুখে কহিলেন, “হঠাৎ আপনি এতটা পরিচিত হয়ে উঠলেন কি ক’রে ভাবনার কথা নয় কি ?” মিঃ বেকার আপন কর্ম-দক্ষতায়, আপন জনপ্রিয়তায় এরূপ আস্থাবান ছিলেন যে, কথা থাকে স্যার, তবে সেজন্য আমিই দায়ী—এই ভদ্রলোকগুলি নন। কারণ কর্মক্ষেত্রে যে যত বেশী জনতার নিকটে থাকে, সে তত বেশী মার্কামারা হয়, স্যার। সেজন্য আপনি বৃথা উদ্বেগে কষ্ট পাচ্ছেন।”