পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Յ Ֆ B মোহন অমনিবাস কবিতা দ্রুতপদে বাহির হইয়া গেল। রমা পিতাকে শয়ন করাইয়া দিয়া, নিনিমেষ বাবা, অভাগিণী কন্যাকে তুমি এত ভালবাস, বাবা।” (S) মিঃ সোমের মূৰ্ছা অপনোদন হইলেও, তিনি বহুসময় পর্যন্ত স্বাভাবিক ও সুস্থ হইতে পারিলেন না। অবশেষে রমার প্রাণাস্ত চেষ্টায় তিনি সুস্থ হইয়া উঠিয়া কহিলেন, ‘সত্যিই এসেছিস তুই রমা।” এই বিপদের সময় কন্যাকে নিকটে পাইয়া, তাহার মনে আনন্দও যত হইতেছিল, একমাত্র কন্যার স্বামী-পরিচয়ের কদর্যতায় ঘৃণার সমারোহ হইতেও পরিত্রাণ পাইতেছিলেন না। তিনি আপনার মন সহজ ও স্বাভাবিক করিবার জন্য সময় লইতে লাগিলেন। যদিও তিনি জানিতেন, কন্যা দসু মোহনের প্রতি একান্ত অনুরাগিনী না হইলে এই বিবাহ কখনও সম্ভবপর হইত না, কিন্তু তাহা হইলেও তাহার বনেদী ও অভিজাত সংস্কারগ্রস্ত মন কিছুতেই এইরূপ পরিস্থিতিকে সহজ ভাবে লইতে পারিতেছিল না। . রমা পিতার মনের দ্বন্দ্ব বুঝিয়াই কহিল, “বাবা, আপনি কি আমাদের মার্জনা করতে পারবেন না ?” উচ্ছসিত স্বরে মিঃ সোম কহিলেন, “তোকে মার্জনা করতে পারব না আমি ? এমন কথা তুই ভাবতেও পারিস, মা ?” তবে আমাদের মার্জনা করুন, বাবা। আমি যে জানি, যত অপরাধই করে থাকি, আপনি ক্ষমা না করে পারবেন না কিছুতেই।” রমা নতমুখে কহিল। মিঃ সোম ক্ষণকাল নীরব থাকিয়া কহিলেন, “এদিকের কি করি বলতো রমা ? আমার সরোজকে বাঁচাবার পথ কিছুই দেখতে পাচ্ছিনে, মা। আমার মন কোন কিছুই স্থির ভাবে নিতে পারছে না।” “কি হয়েছে, বাবা ? দাদার নামে এমন জঘন্য অপরাধ দেওয়া সম্ভব হ’ল কি ক’রে ? কখনও যে-কথা তিনি স্বপ্নেও চিন্তা করতে পারেন না, তাকে সেই অপরাধে গ্রেফতার করবার প্রমাণ পুলিসের হাতে গেল কি করে ? আমি যে কিছুই বুঝতে পারছিনে বাবা। আপনি আমাকে সব কথা বলুন। দাদা ডাকাতি করতে গিয়ে খুন করেছেন, এমন কথা চিত্তাতেও যে অপরাধ হয়, বাবা।” ప్ర్ర সাহেব! উঃ, কি ভীষণ শয়তান। ভগবান ? তুমি আছ একটিবার তা’ প্রমাণ কর। যে কাজের কোন সংস্পর্শে আমি ছিলাম না, সেই কাজেই আমি জড়িয়ে পড়েছি। একচক্ষুহীন স্কাউন্ডেল ব্ল্যাকমেলার!” পিতাকে উত্তেজিত হইয়া নানারূপ মন্তব্য করিতে শুনিয়া, রমা পরম বিস্মিত হইয়া কহিল, “আপনি কি এই রায়সাহেব অবিনাশ বাবুকে চেনেন, বাবা ?” মিঃ সোম কহিলেন, “হতভাগা বদমাশকে চেনবার সৌভাগ্য আমার বহুদিনই হয়েছে, মা। আমার বহু অর্থ এই পিশাচের রাক্ষস-ক্ষুধায় আহুতি দিয়েছি।” সহসা মিঃ সোম রমার দুটি হাত চাপিয়া ধরিয়া কহিলেন, “আমাকে তুই মার্জনা করতে পারবি তো, মা ? তোর