S68 Nivea dritë যাহাদের দেহ হইতে জল ধারার ন্যায় রক্ত বর্ষণ করা হইয়াছে, তাহদিগকেই বুঝাইতে হইবে যে এই নিপীডকগণের ধৰ্ম্ম তাহদের ধৰ্ম্ম অপেক্ষ উৎকৃষ্টতর-ইহাই ফেনেলের কাৰ্য্য। ফেনেলোর মহৎ হৃদয় শিহরিয়া উঠিল। তিনি সমস্যায় পড়িলেন। অবশেষে এই সৰ্ত্তে কাৰ্য্য গ্ৰহণ করিতে সন্মত হইলেন যে তিনি যেখানে কাজ করিবেন। সেস্থান হইতে অস্ত্ৰবল অপসারিত করিতে হইবে। পোয়্যাটু (Portou) তাহার কাৰ্য্যক্ষেত্র নির্দিষ্ট হইল। তিন বৎসর তিনি এইস্থানে কাৰ্য্য করিয়াছেন এবং বিরুদ্ধমতাবলম্বীগণের অকপট শ্রদ্ধা ও প্রীতির পাত্ৰ হইয়াছিলেন। এখানেই তিনি সর্বপ্রথম ম্যাডাম গেয়োর বিষয় শ্ৰবণ করেন। ক্রমে যতই তাহার রচনা, তাহার কাৰ্য্য, তাহার ধৰ্ম্মের কথা শুনিতে লাগিলেন ততই এই অদ্ভুত রূমণীকে দর্শন করিবার জন্য র্তাহার হৃদয়ে আকাঙ্ক্ষা জাগিয়া উঠিল। পোয়্যাটু হইতে ফিরিবার সময় তিনি ম্যাডাম গেয়োর বাল্যভূমি মোটরবি হইতে যথাসাধ্য অনুসন্ধান করিয়া তাহার বিষয় জানিয়া লইয়া ছিলেন । প্যারীতে আসিয়া ম্যাডাম গেয়োর কথা আরও জানিতে পাইলেন। ইহাও শুনিলেন যে তিনি রাজীব কুদৃষ্টিতে পতিত। পার্থিব ধনমানকে যদি তিনি খুব বড় করিয়া দেখিতেন তাহা হইলে এ সংবাদ পাইবার পর আর ম্যাডাম গোয়ের বন্ধুত্ব লাভ করিতে অগ্রসর হইতেন না। কিন্তু তাহার হৃদয় তাহাকে টানিয়া লইয়া চলিল । কারাগার হইতে মুক্ত হইবার পর হইতে ম্যাডাম গেয়েও ফেনেলো সম্বন্ধে ঔৎসুক্য অনুভব করিতেছিলেন। ডাচেজ অব সারোর (Duchess of charost) शूरश् তাহাদেৱ প্ৰথম সাক্ষাৎ হইল।
