পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ম্যালেরিয়া।
৪৯

করতে সমর্থ হইত। কিন্তু এক্ষণে সকলেই বলহীন হইয়া পড়িয়াছেন, সুতরাং সামান্য জ্বরেও শরীর অবসন্ন হইয়া পড়ে। বিশেষতঃ দেশ কাল ভেদে পীড়ার স্বভাব যে পরিবর্ত্তন হয় এই নিয়মটী জগৎব্যাপী। চিরকাল নিরবচ্ছিন্ন স্বাস্থ্য সমভাবে সম্ভোগ কোন দেশের পক্ষে ঘটে না। এলিসন, কৃষ্টীসন, ওয়াটসন, ষ্টোক্স প্রভৃতি বিজ্ঞ অধ্যাপকগণ এই মত প্রতিপন্ন করেন। অধ্যাপক অটেনরিথ্ লিখিয়াছেন যে “সকল প্রকার পীড়া, তরুণই (acute) হউক বা পুরাতন (chronic) স্পর্শক্রামকই (contagious) হউক অথবা অস্পর্শাক্রামক, কিছুকাল তাহাদের স্বভাবকে সমভাবে ক্রমাগত রক্ষা করে, কিন্তু আবার কিছু দিন পরে পরিবর্ত্তিত হইয়া ভিন্ন স্বভাবাপন্ন হয়।” ডাক্তার ওয়াটসন এক স্থলে লিখিয়াছেন “আমার নিজের দর্শন ও চিকিৎসা শাস্ত্র ইতিবৃত্ত পাঠ দ্বারা জানিতে পারিয়াছি যে সময় রূপ তরঙ্গের সহিত পীড়ার বলিষ্ঠ (sthenic-স্থেনিক) ও বলাভাবাপন্ন (asthenic-য়্যাসস্থেনিক) অবস্থা পর পর প্রবাহিত হইতেছে এবং আমরা এক্ষণে বলভাবাপন্ন অবস্থা মধ্যে বাস করিতেছি”।

 পীড়ার স্বভাব পরিবর্ত্তন হওয়া প্রযুক্ত এক্ষণে পীড়া মাত্রেই প্রায় বলাভাবাপন্নতা (asthenicity) প্রাপ্ত হইয়াছে। এই জন্যই প্রদাহ নাশক চিকিৎসায় যথা রক্ত মোক্ষণ, জোঁক প্রভৃতিতে পূর্ব্বে যেমন উপকার দর্শিত এক্ষণে ততোধিক অপকার আনয়ন করে। এই জন্যই