পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিক্তিরী। - Ե-Գ বিধির অনেক প্রভেদ দেখিতে পাওয়া যায়। ব্যাগপাইপের বায়ুকোষ চৰ্ম্মের, কিন্তু তিক্তিরীর বায়ুকোষ অলাবুর, সুতরাং ইউরোপীয়েরা যে কিরূপে এরূপ সিদ্ধান্তে উপস্থিত হইলেন, তাহা বলা যায় না। কোন কোন স্থলে অতি পূৰ্ব্বকালে মুনি ঋষিদিগের সময়ে অলাবুর অভাবে মৃগচৰ্ম্ম ব্যবহৃত হইত, সুতরাং তদানীন্তন তিক্তিরী ও অধুনাতন ব্যাগপাইপ এ উভয়েই সমান হইতে পারে। ইউরোপীয় পণ্ডিতগণের মধ্যেও কেহ কেহ বলেন যে, পূগী ও তুবড়ী একই। এই তুবড়ী যন্ত্র কখন কখন নাসিকা দ্বারাও বাদিত হইয়া থাকে বলিয়া ইহাকে নাসাবংশীও বলে, যাহা হউক এ যন্ত্রের এক নলে একাঙ্গুলি অন্তর নয়টা ছিদ্র, আর এক নলে পাঁচটা ছিদ্র আছে, নয়টর সর্ব নিম্নস্থ দুইটা ছিদ্র মোম দ্বারা আবদ্ধ থাকে, সৰ্ব্বোচ্চ ছিদ্রট নলের পশ্চাৎ দেশ পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত আছে। অপর নলস্থ পাঁচটা ছিদ্রের মধ্যে দ্বিতীয় ও চতুর্থট আমুক্ত থাকে, আর তিনটী মোম দিয়া বদ্ধ করা হয়, শেষোক্ত নলটা সুরযোগের নিমিত্ত ব্যবহৃত হইয়া থাকে, আর প্রথমোক্ত নলে যে সাতটা ব্যবহার্য্য ছিদ্র আছে, বাজাইবার সময় তাহাদের উপর আবশ্যক মত অঙ্গুলি বিক্ষেপ করিয়া ফুংকাররন্ধে ফুৎকার দিলে বিভিন্ন স্বর নির্গত হইয়া থাকে। কিন্তু সাধারণ বংশীযন্ত্রে যে রূপ ফুংকার দেওয়া যায়, তাহ অপেক্ষ এখানে ফুৎকার প্রদানপ্রণালী অনেক বিভিন্ন। এখানে একবারে মুখ পরিপূর্ণ বায়ু লইয়া ক্রমে ক্রমে আবশ্বক মত পরিত্যাগ করিতে হয়। এই নিল যন্ত্র শুদ্ধ ভারতবর্ষে নয় পৃথিবীস্থ প্রায় সমুদয়