পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भूमन्न । >° এই মৃদঙ্গযন্ত্র অনেক দিন হইতে আমাদের দেশে প্রচলিত হইয়া আসিতেছে। এখন ইহাকে সচরাচর খদির, রক্তচন্দন, গাম্ভার, পনস প্রভৃতি কাষ্ঠদ্ধারা নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকে। ইহা দের মধ্যে খদিরনিৰ্ম্মিত মৃদঙ্গই সর্বশ্রেষ্ঠ, কিন্তু চন্দনকাষ্ঠনিৰ্ম্মিত মৃদঙ্গের ধ্বনি অতীব গম্ভীর ও সুমধুর হয়। ইহার দৈর্ঘ্য দেড় হস্ত ও যন্ত্রনিৰ্ম্মাণোপযোগী কাষ্ঠের দল দেড় অঙ্গুলি পরিমিত । মৃদঙ্গের বামমুখ দ্বাদশ অথবা ত্রয়োদশ অঙ্গুলি ব্যাস-বিশিষ্ট এবং দক্ষিণ মুখ বাম অপেক্ষা এক বা অৰ্দ্ধাঙ্গুলি নূ্যন। যন্ত্রের মধ্যদেশ পৃথুল। এই যন্ত্রের আচ্ছাদনী চৰ্ম্মসূত্রদ্বারা আবদ্ধ এবং চতুরঙ্গুলি পরিমিত গোলাকার অটুট গুল্ম সেই চৰ্ম্ম রজজুর সঙ্গে সংলগ্ন থাকে। এই গুলমগুলি হস্তিদন্তের অথবা কাঠের হয়। ইহারা স্বর-বন্ধনের প্রধান উপযোগী। মৃদঙ্গের দক্ষিণমুখ কৃষ্ণখরলিযুক্ত করা হয় । এবং বামমুখ শুদ্ধ চৰ্ম্মাচ্ছাদনীতে আবৃত থাকে। বাজাইবার সময় বাদকগণ সেই আচ্ছাদনীর উপর ময়দা লেপন করিয়া লন। এই যন্ত্র বাজাইতে হইলে খরলিযুক্ত মুখটা দক্ষিণ হস্তের দিকে আর ময়দা লেপন বিশিষ্ট মুখটা বাম দিকে প্রায়ই থাকে, কোন কোন বাদক ইহার বৈপরীত্যও করিয়া থাকেন। কিন্তু যন্ত্রটা ক্রোড়ে বাধিয়া বাজাইবার সময়ে দুই মুখে দুই হস্তই ব্যবহার করিতে হয়। • ভস্ম, গিরিনাটী, অন্ন, কেন্দুক অর্থাৎ গাৰ, চিগীটক অর্থাৎ চিড়ে দি এ খরলি প্রস্তুত করিতে হয় । --- --- ృN)