পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
যন্ত্রকোষ।

গুলির নাম স্বতঃসিদ্ধ যন্ত্র, যথা—বীণা, ত্রিতন্ত্রী বা সেতার, রবাব, সরোদ, রঞ্জনী, কানুন, সুরতরঙ্গ, স্বরবীণা, সুরশৃঙ্গার এই সমুদয় তার-যন্ত্রগুলিই স্বতঃসিদ্ধ-সভ্যযন্ত্রমধ্যে পরিগণিত। শুষিরযন্ত্রের মধ্যে এতদ্দেশে বংশী ব্যতীত অন্য কোন রূপ স্বতঃসিদ্ধ সভ্যযন্ত্রের বড় ব্যবহার নাই। কথিত যন্ত্র সমূহের মধ্যে যে গুলির বহুপ্রচলন সেইগুলি ক্রমশঃ বিবৃত করা যাইবে।


প্রথম অধ্যায়।

মহতী বীণা[১]

 এই যন্ত্রটী অতি প্রাচীন ও সর্ব্বযন্ত্রপ্রধান, মহর্ষি নারদ-কর্ত্তৃক ইহা প্রথম সৃষ্ট হয়। সংস্কৃত শাস্ত্রকারেরা বলেন, এই যন্ত্র

  1. প্রাচীন-সঙ্গীত-শাস্ত্র-কর্ত্তারা তারযন্ত্র মাত্রেরই প্রথমে সামান্যতঃ বীণা” এই ব্যাপক আখ্যা নির্দ্দেশ করিয়া পরে বিশেষ বিশেষ আকার ও প্রকৃতি অনুসারে মহতী বীণ, রুদ্র বীণা, সারস্বত বীণা, রঞ্জনী বীণা, কচ্ছপী বীণা ও স্বরবীণা প্রভৃতি বিশেষ বিশেষ ব্যাপ্য নামও প্রদান করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু সম্প্রতি আমরা মহতী বীণার বিষয় বিবৃত করিতে প্রবত্ত হইয়াছি, সুতরাং এ স্থলে বীণা-সম্বন্ধে যাহা কিছু বলিব, কুতুহলী পাঠকগণ তৎ সমুদয়ই