পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$8 যন্ত্রকোষ । এবং পিত্তলনিৰ্ম্মিত হয় । ইহা ভারতবর্ষে অতিপ্রাচীন কাল হইতে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। ঘণ্টাযন্ত্র দুই প্রকার ;–স্কুদ্র ঘণ্টা বা কর ঘণ্টা এবং বৃহৎ ঘণ্ট বা জয়ঘণ্ট। দেবপূজা প্রভৃতি মাঙ্গল্যকার্য্যে হিন্দুগণ কর-ঘণ্টা ব্যবহার করিয়া থাকেন এবং ভূপালগণের পুরদ্বার ও তোরণে জয়ঘণ্টা আলম্বিত থাকে। পূর্বে যুদ্ধের সময় ভারতবর্মীয় বীর রাজগণ হস্তির উদর নিম্নে জয়ঘণ্টা বধিয়া সামরিক বাদ্যের অঙ্গপূরণ করিতেন। ধৰ্ম্মযাজকেরা দেবমন্দিরেও জয়ঘণ্টা লম্বিত করিয়া রাখেন। এতদ্ভিন্ন অপরাপর কার্য্যেও জয়ঘণ্টা ব্যবহৃত হইয়া থাকে। (see জয়ঘণ্টা)। ভারতবর্ষীয় পূৰ্ব্ব তন ঋষিগণ সচরাচর ঘণ্টা ব্যবহারের বিধিনির্দেশ করিয়৷ গিয়াছেন । ঘণ্টবাদ্য ব্যতীত তাহাদিগের বিধানে আর্য্যজাতির মাঙ্গল্য ক্রিয়া কখনই পূর্ণাবয়বে সম্পাদিত হইতে পারে না। যদি দেবপূজাদির সময়ে অন্য বাদ্য ঘটিয়া না উঠে, কিন্তু ঘণ্টানিনাদ অবশ্যই করণীয়। এইজন্য স্মৃতির একস্থানে স্পষ্টাক্ষরে লিখিত আছে যে, * সৰ্ব্ববাদ্যময়ী ঘণ্ট বাদ্যাভাবে নিযোজয়েৎ ৷ ” এই শ্লোকাৰ্দ্ধে ইহাই প্রতীতি হইতেছে যে, হিন্দুমাত্রেরই গৃহে ঘটা যন্ত্র থাকা এবং বাদিত হওয়া উচিত। পদ্ম পুরাণ, স্কন্দপুরাণ প্রভৃতি আৰ্য্যজাতির প্রচীন ধৰ্ম্ম শাস্ত্র সমূহে ও ঘণ্টামাহাত্ম্য বিশদরূপে লিখিত আছে। স্কন্দপুরাণে শ্ৰীব্ৰহ্মনারদসংবাদে লিখিত হইয়াছে যে,