তার আবদ্ধ থাকিত, গ্রীক্ এবং রোমীয়দের পুরাবৃত্তকর্ত্তা উইলিয়ম্ স্মিথ্ সাহেব উক্ত গ্রন্থে লিখিয়াছেন যে, গ্রীক্জাতিরা যখন “লায়ার” এবং তজ্জাতীয় অন্যান্য যন্ত্রের বিষয় কিছুই জানিত না, তাহার পূর্ব্বেও আসিয়াস্থ নানা দেশে এবং মিশরে লায়ার প্রভৃতি যন্ত্রের বহু প্রচলন ছিল, কিছু কাল পরে গ্রীক্জাতিরা “লায়ারের” উৎকর্ষতা দর্শনে গ্রীস্দেশে প্রথমে উহা আনয়ন করেন। এতদ্বিষয়ের পোষকতা হকিন্ সাহেব, বার্ণি সাহেব এবং কার্লেন্জেল্ সাহেব-কৃত সঙ্গীতগ্রন্থে ভূরি প্রমাণে দেখিতে পাত্তয়া যায়। ফলতঃ বীণা যে অতি প্রাচীন এবং ভারতবর্ষ যে ইহার প্রথম জন্মস্থান তাহার আর কিছুমাত্র সন্দেহ নই, তবে দেশভেদে অবয়বভেদ এবং নামভেদ হইয়া থাকিবে এই মাত্র। সংস্কৃত-সঙ্গীত-গ্রন্থ কর্ত্তারা নানা জাতীয় বীণার নাম বিধিবদ্ধ করেন তন্মধ্যে বল্লরী নামে এক জাতীয় বীণা পূর্ব্বে ভারতবর্ষে বিলক্ষণ প্রচলিত ছিল, মণিয়র্ উইলিয়ম্ সাহেব তাহাকে “হার্প” বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। হার্প যন্ত্র ব্রহ্মদেশে “শন্” এবং চীন্ দেশে “কীণ্” বলিয়া ব্যবহৃত হয়। ইজিপ্ট দেশে বীণাকে “বেণ্” বলিয়া ব্যবহার করিত। “বীণ” এবং “বেণ্” এই দুইটী নামে কতক অংশে শব্দগত ঐক্য দেখা যাইতেছে। “বল্লরী” এবং “হার্প” এক বিধ যন্ত্র নাই হউক, বস্তুতঃ “হার্প” “বল্লরী”র অনুকৃত যন্ত্র বটে, বোধ করি এ বিষয়ে আর কেহ সন্দেহ করিতে না পারেন।
পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
যন্ত্রকোষ।