পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্বর-শৃঙ্গার
৩১

পাওয়া যায় না, ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম-প্রদেশেই ইহার সমধিক আদর আছে। যবন-রাজাদিগের রাজত্বকালে এই যন্ত্রটী যাত্রিক যন্ত্র বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিল, যখন রাজগণ বায়ু সেবন বা অন্য কোন কার্য্য নিবন্ধন বহির্গমন করিতেন, সেই সময়ে হস্তী বা উষ্ট্রের-পৃষ্ঠে শরদ যন্ত্র স্থাপিত ও তাঁহাদিগের অগ্রে অগ্রে বাদিত হইত। পরন্তু এক্ষণে এই যন্ত্রটী তৎপরিবর্ত্তে সভ্য-যন্ত্র-মধ্যে পরিগণিত হইয়াছে। কখন কখন এমনও হয় যে, শারদিকেরা ইহার সমসুরে কণ্ঠ মিলাইয়া সভাতে গানও করিয়া থাকেন। শরদ-যন্ত্র কি স্বতঃসিদ্ধ, কি অনুগতসিদ্ধ উভয় ভাবেই এক প্রকার বড় মন্দ লাগে না। তবে মহতী, কচ্ছপী বা রুদ্র-বীণার সদৃশ নহে, শরদের ধ্বনি অপেক্ষাকৃত কিছু নীরস ও কর্কশ বোধ হয়। আফ্‌গানস্থান ও আরব প্রভৃতি আসিয়াস্থ অনেক দেশে শরদ প্রচলিত আছে, কিন্তু আরবীয়শরদ ভারতবর্ষীয়শরদ অপেক্ষা আকারে কিঞ্চিৎ ক্ষুদ্র এবং উভয়ের অবয়বগতও কিঞ্চিৎ তারতম্য আছে, সংজ্ঞাগত কোন বৈলক্ষণ্য নাই। শরদ-যন্ত্র কিঞ্চিম্মাত্র অবয়ব ভেদে মিশর দেশে গুস্যা নামে প্রচলিত আছে।


সংখ্যা ৮।

স্বর-শৃঙ্গার বা সুর-শৃঙ্গার।

 এই যন্ত্রের খোলটী শরদ বা রবাবের ন্যায় একখানি অভিন্ন কাষ্ঠদ্বারা প্রস্তুত না হইয়া সেতারাদি অন্যান্য যন্ত্রের ন্যায়