পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጓ8 মন্ত্রকোষ । বংশী-জাতি । সামান্যতঃ ধরিতে গেলে সমুদায় ফুৎকার যন্ত্রেরই সাধারণ সংজ্ঞা বংশী। কারণ অতি পূর্বকালে প্রথমে সচ্ছিন্দ্র কোন ফুৎকার যন্ত্র প্রস্তুত হইবার সময় বংশেরই হইয়াছিল, পরে অন্যান্য উপাদানে ও ইহার নিৰ্ম্মাণবিধি সম্পাদিত হইয়। আসিতেছে এবং বাজাইবার রীতিবৈচিত্র্য, এবং উপাদানের ও ছিদ্রসংখ্যার বিভিন্নতানুসারে নানাপ্রকার আকার ও নাম হইয়াছে। যেমন তৈল, তিলোৎপন্ন স্নেহ দ্রব্যই প্রকৃত তৈল, কিন্তু অধুনা এর ও সর্ষপাদি জাতদ্রব পদার্থও তৈলশব্দে আখ্যাত হইয়া থাকে। যে বংশী শ্ৰীকৃষ্ণ ব্যবহার করিতেন বলিয়া প্রবাদ আছে, তাহাকে মুরলী বলা যায়। গ্রীসের অভেনা, রোমের ফিশ্চলা, মিস রের সিবি এবং অধুনাতন ইংরাজী ফুট, ও জৰ্ম্মণিদেশীয় এলিমেণ্ডি, ইহাদের সঙ্গে তাহার অনেক সোসাদৃশ্য আছে। যাহা সরলভাবে বাদিত হইয়া থাকে পারস্যভাষায় তাহাকে আলগোজ, বঙ্গভাষায় সরলবংশী, সংস্কৃতভাষায় বুক, ইংরাজী ভাষায় ফুজিউলেট এবং লাটান ভাষায় । ফিশ্চলামিনিম বলে। সমুদয় বংশই নলাকার, বর্ভূল, সরল এবং পৰ্ব্বদোষবিবৰ্জ্জিত। ইহারা-যদিও প্রথমে ংশের হইত, কিন্তু পরে খদির রক্তচন্দন প্রভৃতি কষ্ঠের, স্থবৰ্ণ, রৌপ্য, তাত্র ও লৌহ প্রভৃতি ধাতুর হইয়া আসি । তেছে ; সময়ে সময়ে হস্তিদন্তের ও স্ফটিকেরও হইয়া ।