మly যশোহর-খুলনার ইতিহাস মহাপ্রাণ বসন্তরায়ের সহিত গোবিন্দদাসের প্রাণে প্রাণে মিলন হইয়াছিল। তিনি যশোরে আসিয়া গোবিন্দকে ভুলিতে পারেন নাই ; তাহার জীবনে তিনি কখনও গোবিন্দ নাম ভুলেন নাই ; তাহার ইষ্টদেবতা গোবিন্দদেব, র্তাহার প্রাণের বন্ধু গোবিন্দ দাস, তাহার পুত্র ছিলেন গোবিন্দরায়, গোবিন্দ যেন বসন্ত রাধের জীবন পথের সার্থী। তাহার অনুরোধে কিছুদিন পরে পরে গোবিন্দ দাস যশোহরে আসিতেন, আসিলে আর সহজে যাইতে পারিতেন না। রাজকাৰ্য্য হইতে যখনই কোন অবসর মিলিত, রাজ-ভ্রাতৃদ্বয় তখনই গোবিন্দকে লইয়া তাহার কীৰ্ত্তন গুনিতেন। যুবরাজ প্রতাপাদিত্য আজন্ম বৈষ্ণব ছিলেন এবং কীৰ্ত্তন গানও ভালবাসিতেন। প্রতাপ যেমন বসন্ত রায়ের নিকট অসি-শিক্ষা করিয়াছিলেন, ধৰ্ম্মনিষ্ঠার প্রাথমিক শিক্ষাও তাহারই নিকট পাইয়াছিলেন। বসন্তরায় যে শুধু সঙ্গীত শ্রবণ করিতেন, তাহা নহে। তিনিও স্বভাব কবি। তিনিও পদ রচনা করিতেন। শ্ৰীচৈতন্তের ভক্তিতরঙ্গ, শুধু বঙ্গকলিঙ্গ কেন, ভারতের বহু অঙ্গে আঘাত করিয়াছিল। এক নবাগত সঞ্জীবনীশক্তি সমস্ত ভারতবর্ষকে মাতাইয়া তুলিয়াছিল। এ তরঙ্গে কত অধম সন্তান প্রেমিক হইল, কত লক্ষপতিকে রাজর্ষি করিয়াছিল। সঙ্গীত বা পদ রচনা করা একালের একটা প্রকৃতি হইয়া দাড়াইয়াছিল। শুধু বঙ্গবাসী বা হিন্দু কেন, কত মুসললান কবি, এমন কি একপ্রকার নিরক্ষর আকবর বাদশাহ পর্য্যন্ত, পদরচনা করিতেন ।* কবিদিগের মধ্যে সেকালে তর্জায় লড়াই ইইত। একজন কবিতায় যে সকল
- -জীউ জীউ মেরে, মনচোরা গোরা। আপনি নাচত আপন রসে ভোর } খোল করতাল বাজে, ঝিকি ঝিকি ঝিকিয়৷ छकठ पञांनएमा नांtफ़ ठिाकि जिकि लिकिप्रl ॥ পদ দুই চার চলু নট নট নটিয়া। ধির নাছি হোয়ত আনন্মে মাতুলিয়া। ঐছন পহুকে যাহ বলিহারি। সাহু আকবর ভেরে প্রেম ভিকারী।”
গৌরপদ তরঙ্গিনী, ২৭৭ পৃষ্ঠা। As regards Akbar's formal illiteracy, Dr. Vincent A. Smith writes —“He never learned elements of reading and writing.” Akbar p. 337. -