পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতাপের দুর্গ-সংস্থান ᎼbaᏄ পুত্ৰগণের সম্পত্তি হয়। প্রতাপ ধূমঘাটে রাজধানী স্থাপন করিলে, বসন্তরায় কিছুদিন প্রাচীন রাজধানীতে থাকিয়া স্বীয় রাজ্যাংশের পরিচালনা করেন। কিন্তু তাহাতে সুবিধা বোধ করিলেন না, কারণ, পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, প্রতাপের সহিত বসন্তরায়ের পুত্ৰগণের কোন সদ্ভাব ছিল না। নিকটে থাকিলে উভয় পক্ষের জ্ঞাতিবিদ্বেষ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইবে, এই আশঙ্কায় এবং বাজ্য পরিচালনার সুবিধার জন্ত বসন্তরায় রাজধানী স্থানান্তরিত করিতে উদ্যোগী হইলেন। পশ্চিম সীমায় গঙ্গাতীরে কোথায়ও রাজধানী হইলে শাসনের সুব্যবস্থা হয়, সঙ্গে সঙ্গে ধৰ্ম্মনিষ্ঠ বসন্তরায়ের পক্ষে বৃদ্ধবয়সে গঙ্গাবাসের সুযোগ ঘটে। তখন ৮কালীঘাটের সন্নিকটে বেহাল-ঘড়িষা প্রসিদ্ধ ও সমৃদ্ধ সমাজ-পল্লী ছিল ; তিনি এই স্থানে রাজধানীর স্থান নিৰ্ব্বাচন করিলেন। বসন্তরায় এ অঞ্চলে পরিচিত ছিলেন ; তিনিই প্রথম কালীঘাটের মায়ের মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন ; সেই স্বত্রে মায়ের সেবক যোগসিদ্ধ ভুবনেশ্বর ব্রহ্মচারীর সহিত বিশেষ পরিচিত ছিলেন। খুব সম্ভবতঃ ব্রহ্মচারীই তাঙ্গকে কালীঘাটের সন্নিকটে রাজধানী স্থাপন করিবার পরামর্শ দেন। তখন তিনি বেহালা ও বড়িষ উভয়ের মধ্যে সুরগুনা গ্রামের উত্তরাংশে রাজধানীর স্থান নির্দেশ করেন। ঐ স্থানে যে দুর্গ নিৰ্ম্মিত হয়, তাহার নাম-(৩) রায়গড় দুর্গ। দুর্গের ভগ্নাবশেষ এখন বিশেষ কিছু নাই ; কেবল স্থানে স্থানে ইষ্টক ও পরিখার চিহ্ন বর্তমান। আর সেই দুর্গের পাশ্বে যে বিস্তীর্ণ দীর্ঘিকা খনিত হয়, তাহ এখনও “রায়নীঘি” বলিয়৷ খ্যাত। গু উহ প্রায় ষাট বিঘা জলাশয়, দৈৰ্ঘ্যপ্রস্থে ১৫০০ × ৬০০ ফুট হইতে পারে। বেহালার শেষ সীমায় চৌমাথা হইতে পশ্চিমমুখে বজবজ পর্যন্ত যে পাকা রাস্তা গিয়াছে, উহারই পাশ্বে বাস্থদেবপুর গ্রামের সীমায় এবং সরগুনার উত্তর গায়ে এই দীঘি অবস্থিত। উক্ত চৌমাথা হইতে পূৰ্ব্বমুখে এক ক্রোশ দূরে আদিগঙ্গার ঘাট,

  • দীঘিটি এখনও অত্যন্ত গভীর : উহাতে ব্যরমাস জল থাকে । ৫০ বৎসর পূৰ্ব্বে ইহ দামঙ্গলে একেবারে ঢাকা ছিল, এখন অনেকটা পরিষ্কৃত হইয়াছে। তবুও কুলের দিকে BBK BBB BBS BB BBBS BB BB BBB BBBBB BBDS DDDS DDD DHH পুকুর করিয়া লইয়া:ছ । উত্তর পাহাড়ে পুষ্প ব্যবসায়ী কৈবৰ্ত্তদিগের বাস। তাছাদের একজন বাধ দিয়া দাখিয় যে অংশ নিজস্ব করিয়া লইয়াছে, তাহার উত্তর কুলে একটি পুরাতন পাক ঘাট আছে। দীঘিটি এখন ঐযুক্ত বামাচরণ রায়ের জমার অধীন ; দীঘিতে অনেক মৎস্ত আছে, তজষ্ঠ উহার জলকর আছে এবং তজ্জগুই হয়তঃ ২১টি মেছকুমীর জুটিয়াছে।