বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᏑᎴᏬ যশোহর-খুলনার ইতিহাস মোগলের বুড়নদুর্গ বলিয়াছেন। ঐ স্থানে প্রতাপাদিত্যের সৈন্তসামন্তের সাময়িক ছাউনী পড়িত, কোন সুরক্ষিত দুর্গ ছিল না। ঐস্থান হইতে উত্তরদিকে ১•১২ মাইল দূরে ইছামতীর কূলে সালখা হইতে পারে। আমাদের মনে হয়, যমুনা ও ইছামতী যে টিবির মোহানায় মিশিয়াছে, তাহারই সান্নিধ্যে কোথায়ও সালখা থান ছিল ; ঐ মোহানার নিকটে সালখি বলিয়া একটি নদী ইছামতীতে মিশিয়াছিল। রেণেলের প্রাচীন ম্যাপে সে নদী আছে, ৫ কিন্তু আধুনিক ম্যাপে নাই। সম্ভবতঃ নদীটি মজিয়া বিলুপ্ত হইয়াছে। এই নদীর মোহানায় সালখা থান হওয়া খুব সম্ভবপর। কারণ এই স্থানে পর্যাপ্ত নৌবাহিনী লইয়া দৃঢ়ভাবে দণ্ডায়মান থাকিতে পারিলে উত্তরদিকের শক্ৰ ভাগীরথী-যমুনা বা ভৈরব-ইছামতী যে পথেই আসুক না কেন, তাহার গতিরোধ করা যায় । সম্ভবতঃ এইস্থানে মোগলের সহিত প্রথম নৌযুদ্ধ আরম্ভ হইয়া সে যুদ্ধ কয়েকদিন চলিয়াছিল, (রামরাম বমুর মতে যুদ্ধ সাতদিন চলিয়াছিল) ; এই কয়েক দিন মোগলের যেমন অগ্রসর হইতেছিল, প্রতাপের সৈন্যদল তেমনি হটিয়া যাইতেছিল, পরে কয়েকদিন পরে যেখানে যুদ্ধ শেষ হইল, সেখান হইতে বুড়ন ১•১২ মাইল বা একদিনের দূরবর্তী হইতে পারে । মোটকথা, ইছামতীর কূলবর্তী টাকি প্রভৃতি স্থান হইতে টিবির মোহনা পর্যন্ত যে স্থানে সালখ ছিল সেখানে প্রতাপের জ্যেষ্ঠপুত্র উদয়াদিত্য যথাসম্ভব সত্বরতার সহিত একটি মৃগয় দুর্গ রচনা করিয়া লইয়া ছিলেন । যে কয়েকটি দুর্গ বর্ণিত হইল, তাহা হইতে বুঝা যাইবে যে, উত্তর দিক হইতে শত্রু ( অর্থাৎ মোগল শত্রু । আসিলে, তাহাকে বাধা দিবার জন্ত প্রতাপাদিত্যের কি ব্যবস্থা ছিল। শত্র প্রধানতঃ ভাগীরথী দিয়াই আসিবার কথা ; সে পথে আসিয়া শক্র যদি ত্রিবেণী হইতে যমুনাতে প্রবেশ করিত, তাহা হইলে তাহাকে তৎক্ষণাৎ বাধা দেওয়া হইত না ; শক্রকে সাহসে ভর করিয়া যমুনাপথে অনেকদূর যাইতে হইত। দৈবক্রমে ভৈরব ও ইছামতী দিয়া শত্রু আসিলেও ঐ একই কথা, যমুনা-ইছামতীর সঙ্গমের পূৰ্ব্বে তাহাকে বাধা দেওয়া হইত না। প্রয়োজন হইলে সেই সঙ্গম স্থলে, অর্থাৎ টিবির মোহানায় ( সম্ভবতঃ এইস্থানেরই নাম ছিল,

  • Rennel's Bengal Atlas Map No. 1.