পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতাপের দুর্গ-সংস্থান ૨૦6 আবাদ শস্ত-প্রাচুর্ষে সমস্ত চকের শ্ৰী-সম্পাদন করিয়াছিল। এখন চাকশিরির মধ্যে অনেকগুলি গ্রাম হইয়াছে। পূৰ্ব্বে ভৈরব হইতে পশর পর্যন্ত সমস্ত ভূভাগ জলা গর্ণ ছিল। উহার মধ্যে রঙ্গদ্বীপ (রাজদিয়া, মধুদ্বীপ (মধুদিয়া), পরবর্তী মধুীপ (পারমধুদিয়া) প্রভৃতি দ্বীপের উন্মেষ হইলেও সমস্ত স্থানের মাঝে মাঝে বহু বিস্তৃত বিল ছিল। সুতরাং মধুমতী বা ভৈরব নদ হইতে পশ্চিম দক্ষিণমুখে সুন্দরবনের দিকে অগ্রসর হইতে হইলে, চকত্রীর পথে আসিতে হইত এবং ঐ স্থলে সুদৃঢ় সৈন্তাবাস বা নৌবাহিনী থাকিলে, শত্রুর গতি প্রতিহত করা যাইত। বিশেষতঃ চারিদিকে চক্রাকারে নদী থাকাতে জাহাজ ও নৌকা প্রভৃতি নিরাপদ রাখা চলিত। চাকশিরির এই অবস্থান-কৌশলের জন্যই প্রতাপাদিত্য এই স্থানে একটি প্রধান নৌ-সেনার আড করিতে সঙ্কল্প করেন । রাজ্য রক্ষার জন্ত সে ংকল্প এত প্রয়োজনীয় যে, তজ্জন্য তিনি অবশেষে পিতৃব্যের সহিত বিবাদ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। সে বিবাদের বিবরণ পরে দিব । চকের উত্তর সীমায় ধোঁতখালির দক্ষিণ কুলে যেখানে এখন চকশিরির হাট বসে, তাঙ্গই দুর্গের স্থান। ধোঁত খালির উত্তর পার হইতে উহার ফটো লওয়া হইয়াছিল। এই চাকশিরির নিকটবৰ্ত্তী কালীগঞ্জ, চণ্ডীতলা, কালিকাতলা, দুর্গাপুর প্রভৃতি এই স্থানে হিন্দু প্রাধান্তের পরিচয় দিতেছে। হাটের দক্ষিণাংশে একটি কালীমন্দিরের ভগ্নাবশেষ এখনও আছে এবং প্রাচীন একটি পুকুরও তাহার পাশ্বে রহিয়াছে। পাশ্ববৰ্ত্তী একবরিয়া গ্রামের পূৰ্ব্বভাগে একটি প্রকাও দীঘি আছে, উহা উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ । সম্ভবতঃ দীঘিটি প্রতাপাদিত্যের সময়ে খনিত এবং উহার সন্নিকটে দুর্গাধক্ষের আবাস গৃহাদি ছিল । এখন কিন্তু লোকে তাহা বিশ্বাস করিতে চায় না ; বড় দীঘি দেখিলেই লোকে বলে, তাহ খাঞ্জাই কীৰ্ত্তি, অর্থাৎ খ জাহান কর্তৃক খনিত দীঘি। সে কথার কোন মূল্য নাই, কারণ পুরাতন অধিবাসীর কোন বংশধর এখানে বাস করিতেছে না। এখন চাকশিরির কিছুই নাই ; আছে মাত্র প্রাচীন নাম আর আছে মাত্র এখানকার হাট, উহা মঙ্গল ও শুক্রবারে লাগে। ইহাকে এ অঞ্চলে কাটিকাট হাট বা সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন হাট বলে ; এবং সুন্দরবনের পূৰ্ব্বভাগের আবাদের বছলোক এখানে আসিয়া হাট করে । • ?, উপরিভাগে প্রতাপাদিত্যের যে ১৪টি প্রধান দুর্গের কথা বলা হইল, তদ্ব্যতীত