পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ〉8 যশোহর-খুলনার ইতিহাস থাকিত। সেগুনের তল ও শাল শিশু দ্বারা অন্যান্ত অংশ গড়িলে জাহাজ খুব দীর্ঘস্থায়ী হইত। প্রতাপাদিত্যের উৎকৃষ্ট রণতরীর সংখ্যাই সহস্ৰাধিক ছিল, অন্যান্ত পোতের ংখ্যা ততোধিক। ইসলাম খাঁর নবাবী আমলে আবদুল লতীফ নামক যে ভ্রমণকারী নূতন দেওয়ানের সঙ্গে বঙ্গে আসিয়াছিলেন, তাহার বর্ণনা হটতে জানিতে পারি,প্রতাপাদিত্যের “যুদ্ধ-সামগ্রীস্তে পূর্ণ প্রায় সাত শত নৌকা ছিল।" মোগল সেনানা ইনায়েৎ খাঁ যখন র্তাহার বিরুদ্ধে প্রেরিত হন, তখন প্রতাপের পুত্র উদয়াদিত্য ৫• • রণপোত লইয়া তাহাকে প্রথম আক্রমণ করিয়াছিলেন । ইহা ভিন্ন সেই সময় রাজধানীর সন্নিকটে ও প্রধান প্রধান নেী-দুর্গে রাজ্যরক্ষার জন্য আরও অনেক রণতরী ছিল। রসদাদি সংগ্ৰহ ও যাতায়াত ব্যবস্থা জষ্ঠ, যুদ্ধের অনুসঙ্গিক কাৰ্য্য ও সংস্কার জন্ত যে আরও কত শত জাহাজ ও নৌকা কত স্থানে ছিল, তাহ স্থির করিয়া বলিবার উপায় নাই । তবে তাহারও আনুমানিক সংখ্য যে সহস্ৰাধিক হইবে, তাহাতে সন্দেহ নাই। এই সকল জাহাজ নিৰ্ম্মাণ ও সংস্থানের জন্ত, উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হইয়াছিল। যশোহর দুর্গ হইতে ; ৪৫ মাইল উত্তরে একটি স্থান নির্দিষ্ট হইল এবং তথায়ু নৌ-বিভাগের কার্য্যালয় স্থাপিত হইল। প্রথমতঃ বাঙ্গালী বা উজবেগ জাতীয় কৰ্ম্মচারীর অধীন কাৰ্য্যারম্ভ হইয়াছিল। এই কৰ্ম্মচারী কে, জানিতে পারি নাই । তৎপরে পর্তুগীজ GfEF CFEffT FEF Frederick Dudley) cs fäE করিলে, তিনিই সৰ্ব্বময় কৰ্ত্ত চষ্টা বসিলেন। কৰ্ম্মদক্ষ ডুডলীর পূর্ব পরিচয় সম্বন্ধে কোনও সন্ধান পাওয়া যায় নাই। নৌ-বিভাগের প্রধান কাৰ্য্যালয়ের নাম হইয়াছিল, জাহাজঘাট ; তথায় ডুডলী ও তাহার কৰ্ম্মচারিগণের কৰ্ম্মশালা ও আবাসগৃহ নিৰ্ম্মিত হইল; উছার ভগ্নাবশেষ এখনও আছে। যমুনার থাতের পূৰ্ব্বতীরে জাহাজ ঘাট ; এ স্থানের খাতের ধারদিয়া রাস্ত চলিয়া গিয়াছে। প্রতাপাদিত্যের আমলের পুরাতন রাজবক্স এক্ষণে ডিষ্ট্রক্ট বোর্ডের রাস্ত • প্রণালী আশ্বিন, ১৩:২৬, ৫৫২ পূঃ । ধূমঘাট দুর্গকেই আমরা সাধারণতঃ যশোহর দুর্গ বলিব। প্রাচীন যশোহর দুর্গ বলিতে হক্টাল তাহাকে নির্দিষ্ট ভাবে মুকুন্দপুর দুর্গ বলিয়া উল্লেখ করিব।